কলকাতায় মেসির মূর্তি।-ফাইল ছবিলেক টাউনের ক্লক টাওয়ারের সামনে দাঁড়ালে এক মুহূর্তে ভুলে যেতে হয়, এটা কলকাতারই অংশ। পরিচ্ছন্ন, সাজানো-গোছানো এই এলাকা বহুদিন ধরেই ফুটবলপ্রেমীদের টানার কেন্দ্র। এতদিন এখানকার সৌন্দর্যের সঙ্গে জড়িয়ে ছিল দিয়াগো মারাদোনার মূর্তি। এবার সেই তালিকায় যুক্ত হতে চলেছে আরেক আর্জেন্তাইন কিংবদন্তি লিওনেল মেসি। তবে মেসির মূর্তি প্রকাশ্যে আসতেই সামাজিক মাধ্যমে শুরু হয়েছে ট্রোলিং। সেলেব্রিটি থেকে সাধারণ মানুষ, হাস্যরস আর কটাক্ষে মেতেছেন নেটদুনিয়ায়।
এই প্রসঙ্গে ‘বাংলা ডট আজতক ডট ইন’-এর তরফে যোগাযোগ করা হলে শিল্পী মন্টি পাল স্পষ্ট ভাষায় জানান, 'কে কী বলছে বা কে ট্রোল করছে, সেসব আমি জানিই না। জানার প্রয়োজনও নেই। সাধারণ মানুষের ভালো লাগলেই আমার কাজ সার্থক।' যদিও বিতর্ক থামেনি। সমাজমাধ্যমে অভিনেতা ঋত্বিক চক্রবর্তী ব্যঙ্গ করে লেখেন, 'কলকাতায় একটা মেসির মূর্তি বসেছে। ওটা হৃতিক রোশন স্বচক্ষে দেখলে খুব খুশি হবেন।' নেটিজেনদের একাংশের মতো তিনিও ইঙ্গিত দিয়েছেন, মূর্তির মুখের সঙ্গে বলিউডের ‘গ্রিক গড’-এর মিল রয়েছে।
তবে আলোচনার বাইরে থেকে যায় মূর্তিটি তৈরির বিপুল পরিশ্রম। শ্রীভূমিতে একটি অস্থায়ী গ্যারেজে তৈরি হওয়া এই বিশাল কাঠামো ৫ ডিসেম্বর রাতে ক্রেন ও ট্রলি-ট্রাকের সাহায্যে আনা হয় ক্লক টাওয়ারের সামনে। সরু গলি, ওভারহেড তার, সব মিলিয়ে পরিবহণ ছিল বড় চ্যালেঞ্জ। কোথাও কোথাও সাময়িকভাবে তার খুলে পথ পরিষ্কার করতে হয়েছে।
মেসির কাঠের মূর্তি নির্মাণের দায়িত্বে ছিলেন মন্টি পালই। উদ্যোগ রাজ্যের দমকলমন্ত্রী সুজিত বসুর। মূর্তির নিজস্ব উচ্চতা ৫৩ ফুট, মঞ্চে বসানোর পর তা দাঁড়িয়েছে প্রায় ৭০ ফুট। ৪৩ জন শিল্পীর পরিশ্রমে গড়া এই মূর্তি এখন কলকাতার নতুন ফুটবল-আবেগের প্রতীক।
১৪ বছর আগে কলকাতায় প্রথম পা রাখা মেসি আজ বিশ্ব ফুটবলের জীবন্ত কিংবদন্তি। শুক্রবার রাত ১টায় তিনি কলকাতায় আসবেন। শনিবার যুবভারতীতে ‘মেসি-শো’, মাস্টার ক্লাস ও সংবর্ধনার পর দুপুরে হায়দরাবাদের পথে রওনা দেবেন। নিরাপত্তার কারণে লেক টাউনে এসে মূর্তি উদ্বোধন নয়, হোটেল থেকেই ভার্চুয়ালি নিজের মূর্তি উন্মোচন করবেন ফুটবলের রাজপুত্র।