তৃণমূলে যোগ দিলেন আলিপুরদুয়ার লোকসভা কেন্দ্রের প্রাক্তন বিজেপি সাংসদ ও প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জন বার্লা। বিজেপি ছেড়ে তিনি বাংলার শাসকদলে যোগ দিলেন। তাঁর হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সী ও রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন তৃণমূল নেতা জনপ্রকাশ মজুমদার। তৃণমূল তৃণমূল কংগ্রেস জানিয়েছে, উত্তরবঙ্গের চা বাগান অঞ্চলে আদিবাসী নেতা হিসেবে বার্লা তাঁর নেতৃত্বের জন্য সুপরিচিত। রাজ্য স্তরের কমিটিতে এবং চা বাগান অঞ্চলেও তাঁর দক্ষতা কাজে লাগানো হবে। সুব্রত বক্সী জানিয়েছেন, জন বার্লার যোগদানে চাবাগান অঞ্চলে তৃণমূলের সংগঠন শক্তিশালী হবে। অরূপ বিশ্বাস বিজেপিকে কটাক্ষ করে বলেন, বিজেপিতে বীতশ্রদ্ধ হয়েই জন তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। একটা একটা করে উইকেট পড়ছে বিজেপির।
জন বার্লা বলেন, 'আমি বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। আজ উনি আমাকে এত বড় সুযোগ দিয়েছেন সমাজের জন্য কাজ করার জন্য। ৬-৭ মাস ধরেই কথা চলছিল। দিদিও ফোন করে কাজ করতে বলেছিলেন। আমি চা বাগান এলাকায় কাজ করতাম। মন্ত্রীও হয়েছিলাম। মন্ত্রী হওয়ার পরে কাজ করতে চেয়েছিলাম, তাতে আমাকে বাধা দেওয়া হয়েছিল। আমি আদিবাসীদের জন্য একটা হাসপাতাল তৈরি করতে চেয়েছিলাম। ১৬০ কোটি খরচ ধরা হয়েছিল। যদিও রাজ্যের বর্তমান বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এই হাসপাতাল আটকে দিয়েছিলেন। জনতা আমাকে কাজ করার জন্য আশীর্বাদ করেছিল। আমাকে আমার পার্টিরই লোকই আপমান করেছে। শুভেন্দু অধিকারী কাজে বাধা দিয়েছেন। হাসপাতাল আটকে দিয়েছেন। তিনি মন্ত্রকে ফোন করে কাজ বন্ধ করা দিয়েছিলেন।'
এরপরেই জন বার্লা বলেন, 'তাই আমি কেন ওই পার্টি, যেখানে আমার কাজে বাধা দেওয়া হয়েছে। তাহলে কেন কেউ দলের সঙ্গে থাকবে? অন্যদিকে তৃণমূল নেতৃত্বাধীন সরকার চা বাগানের শ্রমিক এবং আদিবাসীদের জন্য উন্নয়নের কাজ করছে।'