সংবিধান অনুসারে ভারতীয় নাগরিকদের ভোটাধিকারের জন্য ন্যূনতন বয়স হতে হয় ১৮ বছর। এতদিন কোনও নাগরিকের বয়স ১৮ বছর হলে তবেই ভোটার কার্ডের জন্য আবেদন করতে পারতেন। তবে এবার থেকে সেই নিয়মে আসছে বদল। ১৩তম জাতীয় ভোটার দিবসে ঘোষণা করল নির্বাচন কমিশন।
বুধবার কলকাতায় ন্যাশনাল লাইব্রেরিতে ভোটার দিবস পালনের অনুষ্ঠানে এ রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক আরিজ আফতাব জানান, নতুন ভোটারদের জন্য প্রি-রেজিস্ট্রেশন সিস্টেম শুরু করা হয়েছে। ১৭ বছর বয়স হলেই রেজিস্ট্রেশন করা যাবে।
উল্লেখ্য, এক্ষেত্রে ভোটার কার্ডে নাম তোলার জন্য কোয়ার্টারলি রেজিস্ট্রেশন একটি বড় দিক। সেই পথেই অগ্রসর হয়ে অনলাইনে এই পদ্ধতির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে নির্বাচন কমিশন। ইতিমধ্যেই নির্বাচন কমিশন ১৭৩৬১৮১ জন নতুন ভোটারকে তালিকাভূক্ত করেছে। এঁদের বয়স ১৮ থেকে ১৯ বছরের মধ্যে। গত বছর ভোটার তালিকায় যোগ হন ১৪৫২৬৬৭৮ জন। এছাড়াও কমিশনের নজরে রয়েছে সেই সমস্ত এলাকা যেখানে খুবই কম সংখ্যক মানুষ নিজেদের নাম ভোটার তালিকায় তুলে ধরেন। সেই সমস্ত জায়গায় যাতে জন সচেতনতা গড়ে তোলা যায় তার বার্তা দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
অর্থাৎ, ভোটার হওয়ার জন্য আগাম আবেদনের ব্যবস্থা শুরু করল কমিশন। এর ফলে ১৮ বছর হলেই আগাম আবেদনকারীরা ভোটার হয়ে যাবেন। নতুন ভোটারদের বাড়িতে পোস্ট অফিসের মাধ্যমে পৌঁছে যাবে ভোটার কার্ড।
ফলে যাঁদের জন্মতারিখ ১ জানুয়ারির পরে, তাঁরা আর সারা বছর ভোটার তালিকায় নাম তুলতে পারেন না। বসে থাকতে হয় পরের বছরের জন্য। সেই সমস্যা দূর করতে চলতি বছর থেকেই বছরে ৪ বার ভোটার তালিকায় নামে সংযোজন ও সংশোধনের প্রক্রিয়া চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন। এ বার ১৭ তেই নাম তোলার আবেদন জানানোর সুযোগ মিললে সেই সমস্যা পুরোপুরি মিটে যাবে বলে মনে করা হচ্ছে।
প্রতি বছরের মতো এ বছরও ভোটার দিবসে ২৩ জেলার সেরা নির্বাচনী আধিকারিকদের পুরস্কার দিয়েছে কমিশন।
আরও পড়ুন-ভিনরাজ্যে থেকেও এবার ভোট দেওয়া যাবে, রিমোট ভোটিং মেশিন আনল কমিশন