Garden Reach Building Collapse: গার্ডেনরিচে আরও মৃত্যু, বিল্ডিংটির বালি-সিমেন্ট-রডের মান দেখে বিস্মিত পুর আধিকারিকরা

গার্ডেনরিচে বেআইনি নির্মাণে প্রাণের বলি এখনও পর্যন্ত ৯। দুর্ঘটনার পর দ্বিতীয় দিনও চলছে উদ্ধারকাজ। ভিতরে আরও একজনের আটকে থাকার আশঙ্কা করছে এনডিআরএফ বাহিনী। সাত সকালে দু'টি স্নিফার ডগ নিয়ে আসা হয়। ভাঙা চাঁই কেটে দেখা হচ্ছে ভগ্নস্তূপের মধ্যে কেউ আটকে আছে কিনা।

Advertisement
গার্ডেনরিচে আরও মৃত্যু, বিল্ডিংটির বালি-সিমেন্ট-রডের মান দেখে বিস্মিত পুর আধিকারিকরাগার্ডেনরিচে বেআইনি নির্মাণ ভেঙে মৃত্যু বেড়ে ৯

Garden Reach Building Collapse: গার্ডেনরিচে বেআইনি নির্মাণে প্রাণের বলি এখনও পর্যন্ত ৯। দুর্ঘটনার পর দ্বিতীয় দিনও চলছে উদ্ধারকাজ। ভিতরে আরও একজনের আটকে থাকার আশঙ্কা করছে এনডিআরএফ বাহিনী। সাত সকালে দু'টি স্নিফার ডগ নিয়ে আসা হয়। ভাঙা চাঁই কেটে দেখা হচ্ছে ভগ্নস্তূপের মধ্যে কেউ আটকে আছে কিনা। কলকাতা পুলিশের বাহিনী মোতায়েন রয়েছে। গতকালই এই বেআইনি ৬ তলা বিল্ডিংয়ের প্রোমোটারকে গ্রেফতার করা হয়। কীকরে সকলের নজর এড়িয়ে জলাজমি বুজিয়ে বহুতল নির্মাণ হল? তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।

এও জানা গেছে, ফ্ল্যাট তৈরিতে নিম্নমানের উপকরণ ব্যবহার করা হয়। কলকাতা কর্পোরেশনের দ্বারা প্রস্তাবিত ১৬ মিমির পরিবর্তে ১০ মিমি রড ব্যবহার করা হয়। মাত্র দেড় কাঠা জমিতে একটি দোতলা কাঠামোর জন্য নাগরিক সংস্থা অনুমোদন দেওয়ার পরেও নির্মাতারা পাঁচতলা বিল্ডিং তৈরি করেছিল।

গার্ডেনরিচে বেআইনি নির্মাণে চলছে উদ্ধারকাজ (ছবি: পিটিআই)

জানা যায়, ১৩৪ নম্বর ওয়ার্ডের এই বেআইনি বাড়িটি ২০২২ সালের ডিসেম্বর থেকে নির্মাণ শুরু হয়। ১৫ মাসের মধ্যে পাঁচতলা বিল্ডিং তৈরি হয়ে যায়। পুলিশ সূত্রে খবর, মাঝপথে একসময় বিল্ডিংয়ের নির্মাণকাজ বন্ধ হয়ে যায়। সূত্র জানায়, নির্মাণকাজ নিয়ে একাধিক অভিযোগ আসে। কোনও নিয়ম-কানুন না মেনে অবৈধভাবে পুকুর ভরাট করে বাড়ি নির্মাণের কাজ হয় বলে অভিযোগ ওঠে।

গার্ডেনরিচে বেআইনি নির্মাণে চলছে উদ্ধারকাজ (ছবি: পিটিআই)

গ্রেফতার হওয়া প্রোমোটার মহম্মদ ওয়াসিম পুলিশকেও জানান, সেরু নামে তাঁর এক পার্টনার ওই সময় ওই স্থানে উপস্থিত ছিলেন। ঘটনার পর থেকে তিনি নিখোঁজ রয়েছেন। পুলিশ তদন্ত করছে, ভাঙা কংক্রিট সরিয়ে তাকে খুঁজে পাওয়া যায় কি না। অন্যদিকে সেখানে উপস্থিত বেশ কয়েকজন নির্মাণ শ্রমিকও মারা যান। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, পাঁচ তলা বিল্ডিংটিতে ১৬টি ফ্ল্যাট তৈরি করা হচ্ছিল, তাতে প্রতি বর্গফুট ১৬০০। প্রতিটি ঘরের আয়তন ৫০০ বর্গফুট। প্রতিটি ফ্ল্যাট বিক্রিও হয়ে গিয়েছিল। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, জমির মালিক নাসির আহমেদকে শনাক্ত করা হয়েছে। ভবিষ্যতে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকা হতে পারে।

Advertisement

গত সোমবার মধ্যরাতে ভেঙে পড়ে নির্মীয়মাণ বহুতল। তলায় চাপা পড়ে বস্তিবাসী। ঝুপড়ির ওপর ভেঙে পড়ে নির্মীয়মাণ বহুতলটি। সোমবার মাঝরাতে গার্ডেনরিচ  থানা অন্তর্গত ফতেপুর এলাকায় তাঁতিপাড়ায় তখন রাত ১২টা। ঘুমিয়ে পড়েছিলেন বেশিরভাগ ঝুপড়িবাসী। তাদের মধ্যেই ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। এতগুলি প্রাণহানির দায় কার? উঠছে প্রশ্ন।

POST A COMMENT
Advertisement