গতকাল গভীর রাতে গার্ডেনরিচে একটি নির্মীয়মাণ বহুতল ভেঙে পড়েছে। অভিযোগ বছরের পর বছর ধরে বেআইনি নির্মাণ চলছে ওই এলাকা-সহ কলকাতার বহু জায়গায়। গার্ডেনরিচের ঘিঞ্জি এলাকায় গড়ে উঠেছে একের পর এক বহুতল। তার আশেপাশে অজস্র বসতি এলাকা। রবিবার মাঝরাতে এখানে একটি নির্মীয়মাণ বহুতল ভাঙার পর বসতির টালির ছাদ ভেঙে অন্তত ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর মিলছে। এখনও ধ্বংসস্তূপে আটকে বেশ কয়েকজন। NDRF, পুলিশ, দমকল সকলে মিলে অত্যন্ত তৎপরতার সঙ্গে উদ্ধারকাজ চালাচ্ছে। ইতিমধ্যে প্রোমোটারদের একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তার নাম মহম্মদ ওয়াসিম বলে জানা গিয়েছে।
স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন উঠেছে যে, এই বাড়ি তৈরির অনুমতি কে দিল? কে প্ল্যান অনুমোদন করল? আর অনুমোদিত প্ল্যানের বাইরে গিয়ে নির্মাণ হলে কেন কলকাতা পুরসভা আগেই ব্যবস্থা নিল না? তাহলে কী অনুমোদিত প্ল্যানের বাইরে গিয়ে নির্মাণ করা হচ্ছিল এই বহুতলটি। প্রাণ দিয়ে যার মাশুল দিতে হচ্ছে শহরের নিরপরাধ মানুষকে।
অভিযোগ হল, পুরসভাকে নামমাত্র জরিমানা দিয়ে সেই সব নির্মাণ হচ্ছে। কেউ ফ্লোর বাড়িয়ে নিচ্ছে তো কেউ ঝুল বারান্দা বানাচ্ছে। বাড়ি তৈরির জন্য চারদিকে যে ন্যূনতম ছাড় দিতে হয় তাও দিচ্ছে না। পুরসভাকে জরিমানা দেওয়া ছাড়াও এ ক্ষেত্রে বড় টাকার খেলা রয়েছে বলেও অভিযোগ রয়েছে।
গার্ডেনরিচের ঘটনা নিয়ে এদিন সরাসরি কলকাতা পুরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিমের বিরুদ্ধে প্রশ্ন তুলেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। স্থানীয় কাউন্সিলর শামস ইকবালকে গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছেন শুভেন্দু। ববি হাকিমের সঙ্গে শামস ইকবালের ছবি পোস্ট করে শুভেন্দু লিখেছেন, এই কাউন্সিলরই হলেন কিংপিন। প্রমোটারের সঙ্গে তাঁকেও গ্রেফতার করতে হবে।