মধ্য রাতে ভিন রাজ্যে থাকা স্ত্রীর সঙ্গে ভিডিয়ো কল করেছিলেন। সেই সময়ই গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা একটি বেসরকারি ব্যাঙ্কের কর্তা। ঘটনার পর পড়শিদের কল করেন আমদাবাদ নিবাসী স্ত্রী। তাঁরাই খবর দেন কলকাতা পুলিশে। গরফা থানার পুলিশ পৌঁছয় ঘটনাস্থলে। তার পর ফ্ল্যাটের দরজা ভেঙে তাঁর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করেন। এই ঘটনায় অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা দায়ের করেছে পুলিশ।
জানা গিয়েছে, মৃতের নাম প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়। বয়স হয়েছিল ৪৭ বছর। তাঁর স্ত্রী অপর্ণা বন্দ্যোপাধ্যায় থাকেন গুজরাতের আমদাবাদে। রবিবার রাত ৩টে ৩৫ মিনিট নাগাদ গরফা থানায় ফোন করেন অপর্ণা। পড়শিদেরও ফোন করে বিষয়টি জানান। তাঁদের ফোন যায় পুলিশ কন্ট্রোল রুমে। ফোন পেয়ে গরফার পূর্বাচল মেন রোডে প্রসূনের ফ্ল্যাটে পৌঁছয় পুলিশ। ফ্ল্যাটের দরজা ভিতর থেকে বন্ধ ছিল। ডাকাডাকি করে কারও সাড়াশব্দ না পাননি পুলিশ আধিকারিকরা। এরপর দরজা ভেঙে ভিতরে ঢোকে পুলিশ। প্রসূনের ড্রয়িং রুম থেকে উদ্ধার হয় তাঁর ঝুলন্ত দেহ। এমআর বাঙুর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও প্রসূনকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা।
জানা গিয়েছে, শেক্সপীয়র সরণীর একটি বেসরকারি ব্যাঙ্কের ম্যানেজার ছিলেন প্রসূন। একটা সময় তিনিও থাকতেন গুজরাতে। এখন দুই মেয়েকে নিয়ে সেখানে থাকেন স্ত্রী অপর্ণা। মাস দশেক আগে কলকাতায় বদলি হয়ে এসেছিলেন প্রসূন। সেই থেকে তিনি থাকতেন গরফার ফ্ল্যাটেই।
পুলিশকে অপর্ণার জানিয়েছেন, রবিবার মধ্য রাত স্বামীর সঙ্গে ভিডিয়ো কলে কথা বলছিলেন তিনি। সে সময়ই তাঁদের মধ্যে বচসা বাধে। তর্কাতর্কি চলার সময় আত্মহত্যার হুমকি দেন প্রসূন। ভিডিয়ো কল চলাকালীনই সিলিংয়ের সঙ্গে দড়ি বেঁধে গলায় ফাঁস দিয়ে ঝুলে পড়েন প্রসূন। তার আগে হোয়াটসঅ্যাপে পাঠান সুইসাইড নোট।
প্রসূনের ফ্ল্যাট থেকে একটি সুইসাইড নোট পাওয়া গিয়েছে বলে পুলিশ সূত্রের খবর। প্রসূনের স্ত্রীর অভিযোগ, বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন স্বামী। সেটা নিয়েই চলছিল ঝামেলা। মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। সব দিক খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
আরও পড়ুন- রাষ্ট্রপতিকে অখিলের কুরুচিকর মন্তব্য মামলায় মুখ্যমন্ত্রীর নাম বাদ, নির্দেশ হাইকোর্টের