চাকরিপ্রার্থীদের জন্য সুখবর, সব দফতরে শূণ্যপদের তালিকা চাইল নবান্ন

কর্মপ্রার্থীরা কোমর বাঁধতে পারেন। রাজ্য সরকার তাদের বিভিন্ন দপ্তরে কর্মী নিয়োগের উদ্দেশ্যে সংশ্লিষ্ট দপ্তর গুলির শূন্য পদের সংখ্যা জানতে চেয়েছে। দীর্ঘদিন পর এমন খবরে উচ্ছ্বাস সব মহলই। আপনি তৈরি তো !

Advertisement
চাকরিপ্রার্থীদের জন্য সুখবর, সব দফতরে শূণ্যপদের তালিকা চাইল নবান্ননবান্ন
হাইলাইটস
  • সব দফতরের কাছে তালিকা চাইল নবান্ন
  • দ্রুত নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হবে
  • অবসরপ্রাপ্তদের নিয়োগ কমাতে জোর

বেকারদের জন্য সুখবর

রাজ্য়ের বেকারদের উৎফুল্ল হওয়ার মতো খবর রয়েছে। দ্রুত শূন্যপদ পূরণের জন্য এই উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে রাজ্যে। বিভিন্ন দফতরে চিঠি দিয়ে শূণ্যপদের বিবরণ জানতে চাইল নবান্ন। 

শূণ্যপদের তালিকা চেয়ে পাঠাল নবান্ন

রাজ্য সরকার তাদের বিভিন্ন দপ্তরে কর্মী নিয়োগের উদ্দেশ্যে সংশ্লিষ্ট দপ্তর গুলির শূন্য পদের সংখ্যা জানতে চেয়েছে। দীর্ঘদিন পর এমন খবরে উচ্ছ্বাস সব মহলেই। কর্মীবর্গ ও প্রশাসনিক সংষ্কার দপ্তর থেকে সব দপ্তরকে চিঠি পাঠিয়ে তাদের হাতে থাকা শূন্যপদের সংখ্যা জানাতে বলা হয়েছে।

প্রতি মাসেই পাঠাতে হবে তালিকা

কর্মীদের অবসর নেওয়ার ফলে বা অন্যান্য কারণে কোনও পদ খালি হলে সেই সংক্রান্ত তথ্য সমন্বিত তালিকা পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রতি মাসের ৭ তারিখের মধ্যে সমস্ত দপ্তরকে ওই তথ্যকর্মী বর্গ ও প্রশাসনিক সংষ্কার দপ্তরকে পাঠাতে হবে।

মৃত ও অবসরপ্রাপ্তদের তালিকা পাঠাতে হবে

কর্মরত অবস্থায় কোনও কর্মীর মৃত্যু হলে সেই তথ্য পাঠাতে হবে। সেক্রেটারিয়েট কমন ক্যাডারের আওতায় থাকা আপার ডিভিশন অ্যাসিস্ট্যান্ট, হেড অ্যাসিস্ট্যান্ট, সেকশন অফিসার ও  বিভিন্ন গ্রেডের টাইপিস্টদের বিষয়টি বিশেষভাবে উল্লেখ করা হয়েছে। দ্রুত শূন্যপদ পূরণের জন্য এই উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে বলে ওই চিঠিতে জানানো হয়েছে।

যুব সম্প্রদায়ের মন ফেরানোর চেষ্টা

পাশাপাশি অবসরপ্রাপ্ত কর্মীদের যথেচ্ছ পুনর্নিয়োগ করে কাজ চালানোর প্রবণতা রাজ্য়ের বিরুদ্ধে একটা শ্রেণিকে খেপিয়ে তুলছিল। নতুনদের নিয়োগ না করে অবসর নেওয়াদের নিয়োগ করায় যুব সম্প্রদায়ে বিরূপ মনোভাব কানে এসেছে রাজ্যের। তা রুখতেও উদ্যোগী হয়েছে নবান্ন।

ব্যাখ্যা দিয়েছে রাজ্য

সরকারি সূত্রে এর ব্যাখ্যাও দেওয়া হয়েছে, বিভিন্ন দপ্তর অনেক সময় নিজেরাই সিদ্ধান্ত নিয়ে দপ্তরে বা অধীনস্থ কোনও সংস্থায় অবসরপ্রাপ্ত আধিকারিক বা কর্মীকে পুনরায় নিযুক্ত করে। এর জন্য কর্মীবর্গ ও অর্থ দপ্তরের কোনও অনুমোদন অনেক সময় নেওয়া হয় না।

নিয়োগের অপেক্ষায় কর্মপ্রার্থীরা

দপ্তর বা অধীনস্থ সংস্থা নিজস্ব তহবিল থেকে তাদের বেতনের টাকা দেয়। বিভিন্ন প্রকল্পের জন্য প্রাপ্ত টাকা ব্যাঙ্কে জমা থাকার জন্য যে সুদ পাওয়া যায় প্রধানত তা থেকে তাদের বেতন দেওয়া হয়। এই প্রক্রিয়াতে পাকাপাকি দাঁড়ি টেনে নতুন কর্মী নিয়োগের মাধ্যমে কর্মসংস্কৃতি কে আরো মজবুত করতে এবার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে বলে জানা গেছে নবান্ন সূত্রে। এখন কবে নিয়োগের তালিকা প্রকাশ হয় তার অপেক্ষায় কর্মপ্রার্থীরা।

Advertisement

 

POST A COMMENT
Advertisement