সাত সকালে তাণ্ডব এসএসকেএম হাসপাতালে। ট্রমা কেয়ারের সামনে হকি স্টিক, উইকেট নিয়ে মারধর করার অভিযোগ। এক রোগীর আত্মীয়কে মেরে মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হল। আতঙ্কে রোগী, রোগীর পরিজন এবং চিকিৎসকরা। ঘটনাস্থলে গিয়েছে পুলিশ। এই ঘটনায় আরও একবার হাসপাতালে নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠে গেল।
জানা গিয়েছে, সকালে এসএসকেএম হাসপাতালে বাইক নিয়ে ঢুকে পড়েন কয়েকজন। তাঁদের হাতে ছিল হকি স্টিক ও উইকেট। ট্রমা কেয়ারে চিকিৎসাধীন বাঁকুড়ার বাসিন্দা এক রোগীর আত্মীয়কে মারধর করা হয়। মারের চোটে তাঁর মাথা ফেটে গিয়েছে। তাঁর নাম সৌরভ মোদক। তাঁর বাবা ট্রমা কেয়ার সেন্টারে ভর্তি রয়েছেন। সৌরভের চিকিৎসা চলছে ট্রমা কেয়ারে। তাঁর মাথায় স্টিচ করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। আঘাত কতটা গুরুতর তা জানতে সিটি স্ক্যান এবং অন্যান্য পরীক্ষা করা হচ্ছে।
পুলিশের বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয় থাকার অভিযোগ তুলেছেন ডাক্তাররা। কারণ, তাণ্ডব চালানোর পরে হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে যায় বাইকে করা আসা লোকজন। কী কারণে সৌরভকে মারধর করা হল, কেনই বা হাসপাতালে এমন ঘটনা ঘটল, তা এখনও পরিষ্কার নয়। ঘটনার পরেই হাসপাতালে গিয়েছে পুলিশ। কী নিয়ে এই হামলা, কারা জড়িত, তার খোঁজ নিচ্ছে পুলিশ।
আরজি কর-কাণ্ডের প্রেক্ষিতে ১০ দফা দাবি নিয়ে আন্দোলন করছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। আমরণ অনশনে বসেছেন কয়েক জন জুনিয়র ডাক্তার। চিকিৎসক অনিকেত মাহাতোর পর রাতে অসুস্থ হয়ে পড়েন আরও এক অনশনকারী অনুষ্টুপ মুখোপাধ্য়ায়। পেটে প্রবল যন্ত্রণা নিয়ে রাতে তাঁকে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। সন্ধের পর থেকে তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে শুরু করে। তাঁকে ইঞ্জেকশন দেওয়ার পর শারীরিক অবস্থার উন্নতি হচ্ছিল না। এরপরই তাঁকে হাসপাতালে আনা হয়। চিকিৎসকরা অনুষ্টুপের স্বাস্থ্যপরীক্ষা করার পর সিসিইউতে ভর্তি করেন। রাতে ধর্মতলার ধর্নামঞ্চ থেকে অ্যাম্বুল্যান্সে করে তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তাঁর মূত্রের সঙ্গে রক্ত পড়ছে বলে জানা যায়। তারপরই তড়িঘড়ি তাঁকে সেখানেই চিকিৎসা করেন চিকিৎসকেরা। শারীরিক অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় হাসপাতাল নিয়ে যাওয়া হয়। রাস্তায় গ্রিন করিডর করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। অনুষ্টুপের চিকিৎসায় ৮ জন চিকিৎসকের একটি মেডিক্যাল টিম গঠিত হয়েছে। এক চিকিৎসক সূত্রে পাওয়া খবর অনুযায়ী, অনুষ্টুপের শারীরিক অবস্থা আগের থেকে ভাল হলেও এখনও সঙ্কটমুক্ত নয়। তাঁকে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।