scorecardresearch
 

BJP Calls Strike Wednesday : বুধবারের বনধ মানা হবে না, সরকারি কর্মচারীদের অফিস আসতে হবে; ঘোষণা রাজ্যের

বিজেপির ডাকা বনধ মানা হবে না। রাজ্য সচল থাকবে। সরকারি কর্মচারীদেরও অফিসে আসতে হবে। দোকানপাট খোলা থাকবে। জানাল রাজ্য সরকার।

Advertisement
Alapan Bandyopadhyay Alapan Bandyopadhyay
হাইলাইটস
  • বিজেপির ডাকা বনধ মানা হবে না
  • রাজ্য সচল থাকবে
  • জানালেন আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়

বিজেপির ডাকা বনধ মানা হবে না। রাজ্য সচল থাকবে। সরকারি কর্মচারীদেরও অফিসে আসতে হবে। দোকানপাট খোলা থাকবে। পরিবহন ব্য়বস্থা সচল থাকবে। রাজ্য সরকারের তরফে জানালেন আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি সাফ জানান, বনধের সংস্কৃতিতে বাংলা বিশ্বাস করে না। সেই কারণে বনধ করা চলবে না। 

আরজি কর কাণ্ডে নবান্ন ঘেরাও অভিযানে আজ রক্ত ঝরে। আগামিকাল রাজ্য জুড়ে ১২ ঘণ্টা বাংলা বনধ ডেকেছে বিজেপি। মঙ্গলবার সাংবাদিক বৈঠক করে ঘোষণা করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। আগামিকালের বাংলা বনধ্-কে সফল করার বার্তা দেন তিনি। বুধবার সকাল ৬টা থেকে সন্ধে ৬ টা পর্যন্ত চলবে ধর্মঘট। পাল্টা আক্রমণাত্মক কুণাল ঘোষ। বিজেপিকে নিশানা করে তাঁর দাবি, 'রাজনৈতিক অরাজকতার প্লট তৈরি করে ফেলেছে এরা।'

তবে এই বনধকে সমর্থন করে না রাজ্য সরকার। মুখ্যমন্ত্রীর মুখ্য উপদেষ্টা আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় তা নিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে সরকারের অবস্থান স্পষ্ট করে দেন। আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, 'রাজ্য সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে আগামিকাল রাজ্যের জনজীবন স্বাভাবিক রাখা হবে। সব কিছু চালু থাকবে। সরকারি কর্মীদের প্রতি সরকারের নির্দেশ, অবশ্যই সঠিক সময়ে অফিস আসতে হবে। দোকানপাট খোলা থাকবে। সরকার সেজন্য সবরকম ব্যবস্থা করবে। কারও কোনও ক্ষতি হলেও সরকার তা দেখবে। যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক থাকবে। যানবাহন স্বাভাবিক রাখতে হবে। এটাও সরকারি নির্দেশ। সরকারি বাস চলাচল করবে। বেসরকারি বাসও চলবে স্বাভাবিক নিয়মে। বাংলাকে সবক্ষেত্রে সম্পূর্ণরূপে সচল থাকতে হবে। বাংলার সংস্কৃতি ও কৃষ্টি হল পারস্পরিক সৌজন্য ও সম্প্রীতির। সেই কৃষ্টির প্রতি সম্মান জানিয়ে পুলিশ আজ সবরকম সহযোগিতা করেছে। ধৈর্যের পরিচয় দিয়েছে।' 

আরও পড়ুন

আলাপন বন্দ্যেপাধ্যায় আরও জানান, পুজোর বিকিকিনি চলছে যে সমস্ত দোকান-বাজারে, তা যেন খোলা রাখা হয়। রাজ্য জানিয়েছে, তার জন্য কোনওরকম ক্ষতি যদি তাঁদের হয়, সেই ক্ষতিপূরণের দায়িত্ব নেবে রাজ্য সরকার। 

Advertisement

প্রসঙ্গত, মঙ্গলবারের বনধ ঘিরে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় হাওড়া। সেখানে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। পুলিশের মাথা ফাটে। লাঠিচার্জে আহত হন একাধিক আন্দোলনকারীও। বিজেপির তরফে অভিযোগ করা হয়, বিনা প্ররোচনায় পুলিশ মারধর করেছে। অনেকে জখম হয়েছেন। শুভেন্দু অধিকারী জানান, অনেকে বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তারপরই বিজেপির তরফে বনধের ঘোষণা করা হয়। 

যদিও আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের আগে কুণাল ঘোষ বলেন, 'আগামিকাল ২৮ অগাস্ট কোনও বাংলা বনধ হবে না। এই বাংলা বনধের ডাক ব্যর্থ করুন। মানুষ দেখেছেন আর জি কর কাণ্ডে কলকাতা পুলিশ একজনকে অ্যারেস্ট করেছে। মামলা চলছে সুপ্রিম কোর্টে, তদন্ত করছে সিবিআই, আর এরা কিনা নবান্ন ঘেরাও করছে। এই ছুতো নিয়ে অরাজকতা তৈরি করেছে। দয়া করে এতে পা দেবেন না। রাজনৈতিক অরাজকতার প্লট তৈরি করে ফেলেছে এরা। কাল বিজেপির ডাকা বনধ ব্যর্থ করুন। এটা বাংলার বিরুদ্ধে চক্রান্ত। বিজেপি মহিলাদের সম্মান দেয় না। আগামিকাল জনজীবন স্বাভাবিক রাখুন। দয়া করে কোনও প্ররোচনায় পা দেবেন না। বিজেপির লোকেরা আমাদের ছেলেদের ইট, পাথর মেরেছে। এর মধ্যে বাংলা বিরোধী অপশক্তি আছে। আজ পুলিশ কোথাও রিঅ্যাক্ট করেনি। কারা ব্যারিকেড ভাঙল?'

 

Advertisement