Kalyan Banerjee Raj Bhavan: রাজভবনে বন্দুক, বোমা? TMC-র কল্যাণের বিরুদ্ধে বড় অ্যাকশনের তোড়জোড় শুরু বোসের

আগেই পদক্ষেপের হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন। এবার কল্যাণের 'রাজভবনে অস্ত্র মজুদ' মন্তব্যের প্রেক্ষিতে আইনি পরামর্শ নিতে শুরু করলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। ফলে শীঘ্রই সাংসদ-রাজ্যপাল সংঘাত আদালতে গড়াতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

Advertisement
রাজভবনে বন্দুক, বোমা? TMC-র কল্যাণের বিরুদ্ধে বড় অ্যাকশনের তোড়জোড় শুরু বোসেরআদালতে মুখোমুখি রাজ্যপাল-সাংসদ?
হাইলাইটস
  • কল্যাণের 'রাজভবনে অস্ত্র মজুদ' মন্তব্যের প্রেক্ষিতে আইনি পরামর্শ নিতে শুরু করলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস।
  • শীঘ্রই সাংসদ-রাজ্যপাল সংঘাত আদালতে গড়াতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
  • রাজভবন বলছে, সাংসদের মন্তব্যে রাজ্যের সাংবিধানিক দফতরের মর্যাদা ক্ষুণ্ণ হয়েছে।

আগেই পদক্ষেপের হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন। এবার কল্যাণের 'রাজভবনে অস্ত্র মজুদ' মন্তব্যের প্রেক্ষিতে আইনি পরামর্শ নিতে শুরু করলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। ফলে শীঘ্রই সাংসদ-রাজ্যপাল সংঘাত আদালতে গড়াতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। রাজভবন বলছে, সাংসদের মন্তব্যে রাজ্যের সাংবিধানিক দফতরের মর্যাদা ক্ষুণ্ণ হয়েছে। তাই আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে।

ঘটনার সূত্রপাত গত শনিবার। SIR নিয়ে রাজ্যপাল বলেন, 'নির্বাচন ব্যবস্থাকে আরও স্বচ্ছ করতে SIR বা Special Intensive Revision প্রয়োজন।' তার সামান্য বাদেই রাজ্যপালের বিরুদ্ধে মন্তব্য করেন শ্রীরামপুরের TMC সাংসদ। কল্যাণ বলেন, 'রাজভবনে বিজেপির দুষ্কৃতীদের আশ্রয় দেওয়া হচ্ছে। তাদের হাতে বন্দুক বোমা দেওয়া হচ্ছে।'

সাংসদের এই মন্তব্যকে কেন্দ্র করেই বিতর্ক চরমে ওঠে। বিষয়টি রাজ্যপালের কানেও যায়। এরপরেই এই মন্তব্যের নিন্দা জানায় রাজভবন। রবিবার ভোর পাঁচটা থেকে রাজভবনের দ্বার জনসাধারণ ও সংবাদমাধ্যমের জন্য খুলে দেওয়া হবে। রাজভবনে অস্ত্র থাকলে তা খুঁজে বের করুন, বলেন রাজ্যপাল। এর পাশাপাশি তখনই কল্যাণ বন্দ্য়োপাধ্য়ায়ের মন্তব্যের প্রেক্ষিতে আইনানুগ পদক্ষেপের হুঁশিয়ারি দেন।

সূত্রের খবর, এই বিষয়ে লোকসভার স্পিকারের কাছেও অভিযোগ জানাতে পারেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। 

অন্যদিকে, আইনজীবী সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যপালকে সরাসরি আক্রমণ করে বলেন, 'ওঁকে তিন বছর সৌজন্য দেখানো হয়েছে। এবার আসল সত্যিটে সামনে আনার সময় এসেছে। রাজভবনকে বিজেপির কার্যালয় বানানো হচ্ছে।' তিনি আরও দাবি করেন, রাজ্যপাল মিথ্যে প্রচার করছেন এবং তাঁর দলের বিরুদ্ধে পরিকল্পিতভাবে রাজনৈতিক বার্তা দিচ্ছেন।

এই ঘটনায় রাজ্যের রাজনৈতিক ব্যোমে যে আরও একটি ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হল, তা বলাই বাহুল্য। আপাতত এই পুরো বিষয়টি আদালতে গড়ায় কিনা, সেটাই দেখার। 

POST A COMMENT
Advertisement