গুজরাতে ধরাশায়ী কংগ্রেস। রেকর্ড আসনে সপ্তমবার ক্ষমতা ধরে রাখতে চলেছে গেরুয়া শিবির। নরেন্দ্র মোদীর রাজ্যে এই বিরাট জয়ে বিজেপি বিরোধী জোটে তৃণমূলের গুরুত্বের কথা মনে করিয়ে দিলেন দলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। সেই সঙ্গে তাঁর দাবি, নরেন্দ্র মোদী বিকল্প মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই।
ত্রিপুরা, গোয়া ও মেঘালয়ে সংগঠন বিস্তার করছে তৃণমূল কংগ্রেস। গোয়ায় লড়াইও করেছিল তারা। সেই সময় তৃণমূলের বিরুদ্ধে ভোট ভাগ করে বিজেপিকে সুবিধা পাইয়ের দেওয়ার অভিযোগ করেছিল কংগ্রেস। সেই অভিযোগের জবাবই এ দিন দিলেন কুণাল। তাঁর কথায়,'কংগ্রেসের আত্মসমলোচনা প্রয়োজন। কেন গুজরাতে পারল না? কেন গুজরাতে টক্কর দিয়ে লড়াই করা গেল না? কেউ কিছু বলতে গেলে কংগ্রেসের গায়ে লেগে যাবে। তারা ভারত জোড়ো যাত্রা করছে অথচ গুজরাত জুড়তে পারছে না। গুজরাতে মূল লড়াই ছিল বিজেপি বনাম কংগ্রেস। গুজরাতে কংগ্রেসের কাছে দেখানোর সুযোগ ছিল, কীভাবে নরেন্দ্র মোদীর রাজ্যে কংগ্রেসের জয়রথ এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যায়। ফাঁকা মাঠ ছিল। কেন ব্যর্থ হল? কীসের জন্য ব্যর্থ হল?'
২০২৪ সালে লোকসভা ভোটে কংগ্রেস একা লড়ে বিজেপির মোকাবিলা করতে পারবে না বলেও দাবি করেছেন কুণাল। মনে করিয়ে দিয়েছেন, বিজেপি বিরোধী জোটে তৃণমূলের প্রাসঙ্গিকতার কথাও। কুণাল বলেন,'যারা গুজরাতে ব্যর্থ হল তারা কীভাবে একক কৌশলে লোকসভা ভোটে সামলাতে পারবে। পারবে না। কংগ্রেসের আত্মসমালোচনা দরকার। অবিজেপি বিকল্পের ক্ষেত্রে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রাসঙ্গিকতা ও গুরুত্ব আজকের ফলে আবার প্রমাণিত হল।'
এর আগেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বিকল্প মুখ হিসেবে তুলে ধরেছিল তৃণমূল। এ দিন কংগ্রেসের ভরাডুবির পর সেই কথাও আরও একবার ভাসিয়ে দিলেন দলের মুখপাত্র। তাঁর কথায়,'নরেন্দ্র মোদীর বিকল্প মুখ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সাতবারের সাংসদ, চারবারের কেন্দ্রীয়মন্ত্রী, দুবারের রেলমন্ত্রী ও তিনবারের মুখ্য়মন্ত্রী তিনি। তাঁর উন্নয়নের মডেলও রয়েছে।'
কুণালের কথায় কংগ্রেসের বক্তব্য,'গুজরাত বা হিমাচলে কোথাও তৃণমূল নামক দল ছবিতেই নেই। বিজেপি জিতলে তৃণমূলের আনন্দ হওয়াটা স্বাভাবিক। আত্মসমালোচনা ওদের করা উচিত। আমাদের আদর্শের লড়াই। আরএসএসের বিরুদ্ধে লড়াই করছেন রাহুল গান্ধী। কোনও রাজ্যে হারব, কোনও রাজ্যে জিতব। গুজরাতে হারলেও হিমাচলে জিতেছি।'
আরও পড়ুন- শুভেন্দুর বিরুদ্ধে সমস্ত FIR স্থগিত, পুলিশের ভূমিকায় প্রশ্ন হাইকোর্টের