পুজো কাটতেই বিজেপিতে ফের ভাঙন। বাঁকুড়ার কোতুলপুরের বিধায়ক হরকালী প্রতিহার যোগ দিলেন তৃণমূলে। তাঁকে দলে স্বাগত জানালেন তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। লোকসভা ভোটের আগে বাঁকুড়ায় বিজেপির ভাঙন বেশ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মত রাজনৈতিক মহলের। কারণ ওই জেলার দুই লোকসভা আসন বাঁকুড়া ও বিষ্ণুপুরে বিজেপির দখলে। সুভাষ সরকার ও সৌমিত্র খাঁ দুই কেন্দ্রের সাংসদ। হারকালী আবার সৌমিত্র খাঁয়ের লোকসভা কেন্দ্রের বিধায়ক।
গত কয়েকদিন ধরে হরকালী নিয়ে চলছিল জল্পনা। অভিষেকের ক্যামাকস্ট্রিটের অফিসেও তিনি গিয়েছিলেন বলেও খবর। বৃহস্পতিবার এল সেই মাহেন্দ্রক্ষণ। বিজেপিকে ছেড়ে তৃণমূলে নাম লেখালেন হরকালী। সেই ছবি পোস্ট করা হয়েছে তৃণমূলের তরফে। তৃণমূলের উন্নয়ন দেখেই দলবদলের সিদ্ধান্ত বলে জানালেন কোতুলপুরের বিধায়ক। তাঁর কথায়,'বাংলার মানুষের জন্য এই সিদ্ধান্ত। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় যেভাবে উন্নয়নের জোয়ার এনেছেন, সেই উন্নয়নে শামিল হলাম। বাংলার মানুষকে নানাভাবে বঞ্চিত করছে কেন্দ্রীয় সরকার। ১০০ দিনের টাকা, আবাসের টাকা দেওয়া হচ্ছে না। তার প্রতিবাদেই তৃণমূলে যোগ দিলাম।'
ফেসবুকে তৃণমূলের তরফে লেখা হয়েছে,'আজ সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের উপস্থিতিতে বাঁকুড়ার কোতুলপুর বিধানসভা কেন্দ্রের বিজেপি বিধায়ক হরকালী প্রতিহার তৃণমূলে যোগ দিলেন। মা-মাটি-মানুষের আদর্শকে শক্তিশালী করা ও সাধারণ মানুষের সেবার জন্য তাঁর এই সিদ্ধান্ত। তৃণমূল পরিবারে তাঁকে স্বাগত। বাংলার উন্নতির জন্য আমরা হাতে হাত মিলিয়ে কাজ করব।'
হরকালীর দলবদল ভোটে কোনও প্রভাব ফেলবে না বলে দাবি করলেন বিষ্ণুপুরের বিধায়ক সৌমিত্র খাঁ। তাঁর কথায়,'২০১৪ সাল থেকে বিধায়ক হওয়ার চেষ্টা করছিলেন। কোনও দল টিকিট দেয়নি। ধরে-কয়ে টিকিট পায়। আমি জিতিয়ে আনি। হরকালী প্রতিহার চলে গেল বলে বিষ্ণুপুর লোকসভা ২ লক্ষ ভোটে জিতব। লাভই হল।'