আপৎকালীন হেল্পলাইন নম্বর
মেডিক্যাল পড়ুয়াদের জন্য আপৎকালীন হেল্পলাইন নম্বর চালু করল কলকাতা পুলিশ। হেল্পলাইন নম্বরটি হল-18003455678.
আরজি করের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পুলিশ আধিকারিক অপসারিত
আরজি কর হাসপাতালে মহিলা জুনিয়র ডাক্তারের ভয়াবহ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় অপসারিত কলকাতা পুলিশের এসিপি চন্দন গুহ। তিনি আরজি কর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন।
আন্দোলনকারীরা সন্তুষ্ট: পুলিশ কমিশনার
আরজি কর হাসপাতালে গেলেন কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল। কথা বলেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ও আন্দোলনকারীদের সঙ্গে। কমিশনার জানালেন,'পুলিশি তদন্তে সন্তুষ্ট আন্দোলনকারীরা। কলকাতা পুলিশ স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ তদন্ত করছে। পড়ুয়াদের অভিযোগ থাকলে আমাদের কাছে আসতে পারেন'।
#WATCH | Kolkata: Regarding the rape and murder of a post-graduate trainee (PGT) female doctor at RG Kar Medical College and Hospital on the night of August 9, Kolkata Police Commissioner Vineet Kumar Goyal says"...Joint CP Crime has met the family of the deceased today also. The… pic.twitter.com/PloRCmVKe1
— ANI (@ANI) August 11, 2024
আরজিকর চিকিৎসক খুনের ঘটনার প্রতিবাদে ধর্মঘটে
আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে এক মহিলা ডাক্তারকে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনা এখন শিরোনামে। এই ঘটনার প্রতিবাদে আবাসিক চিকিৎসকদের সংগঠন 'ফেডারেশন অফ অল ইন্ডিয়া রেসিডেন্ট ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন' ১২ অগাস্ট থেকে সারা দেশে ধর্মঘটের ঘোষণা করেছে। সব সরকারি হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক সমিতিকে এই ধর্মঘটে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।
🚨 We shall begin our Nationwide agitation from tomorrow! (Monday 12th August)
We stand with our beaten, manhandled, deeply hurt colleagues of R G Kar Medical College, Kolkata.
We urge authorities to not make it political and color it bad- It’s humanity which is at stake here.… pic.twitter.com/pPg2ifpBqI— FORDA INDIA (@FordaIndia) August 11, 2024Advertisement
আরজিকর চিকিৎসক খুনের ঘটনায় মুখ খুললেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়
আরজিকর চিকিৎসক খুনের ঘটনায় এবার মুখ খুললেন প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেট অধিনায়ক ও প্রাক্তন বিসিসিআই সভাপতি সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি বলেন, এটি অত্যন্ত জঘন্য ঘটনা। দোষীদের কড়া শাস্তি হওয়া উচিত।
ধর্ষণের পর খুন নাকি খুনের পর ধর্ষণ?
ধর্ষণের পর খুন নাকি খুনের পর ধর্ষণ? এনিয়ে এখনও নিশ্চিত নয় কলকাতা পুলিশ। ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসকদের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন পুলিশের তদন্তকারী অফিসাররা।
আরজি কর-কাণ্ডে ধামাচাপা দেওয়ার অভিযোগ
আরজি কর হাসপাতালে চিকিৎসক ধর্ষণ-খুনের ঘটনায় একজন জড়িত থাকতে পারে না। দোষীকে আড়াল করার চেষ্টা চলছে। এক্স হ্যান্ডেলে অভিযোগ করলেন বিজেপির আইটি সেলের ইনচার্জ অমিত মালব্য।
Mamata Banerjee’s administration is in overdrive to cover up the rape and murder of a resident doctor in RG Kar MCH.
— Amit Malviya (@amitmalviya) August 11, 2024
Kolkata Police has apparently arrested a ‘civic volunteer’ for the crime, when as per media reports, the body of the deceased had 11 grievous injuries, with even… pic.twitter.com/MAa98kLBot
সোমবার দেশজুড়ে আন্দোলনের ডাক দিল সর্বভারতীয় চিকিৎসকদের সংগঠন, ভোগান্তির আশঙ্কা
আরজিকরের কতর্ব্যরত ডাক্তারি পড়ুয়াকে নৃশংসভাবে খুনের ঘটনায় তোলপাড় সারা দেশের চিকিৎসক সংগঠনে। ঘটনার তীব্র নিন্দা করে অবিলম্বে সারা দেশের প্রতিটি মেডিক্যাল কলেজে কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা আইন লাগু করার দাবি শনিবার জানিয়েছিল ন্যাশনাল মেডিক্য়াল অর্গানাইজেশন। ঘটনার প্রতিবাদে এবার সোমবার দেশজুড়ে আন্দোলনের ডাক দিল ফেডারেশন অফ রেসিডেন্ট ডক্টর্স অ্যাসোসিয়েশন।
আরজি কর হাসপাতালের সুপারকে সরিয়ে দিল স্বাস্থ্য দফতর
এতদিন হাসপাতালের সুপারের দায়িত্বে ছিলেন চিকিৎসক সঞ্জয় বশিষ্ঠ। তাঁর জায়গায় দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে হাসপাতালের ডিন বুলবুল মুখোপাধ্যায়কে। সঞ্জয়কে সরিয়ে ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজে অধ্যাপক হিসাবে পাঠানো হয়েছে।
আরজি কর হাসপাতালের এক মহিলা চিকিৎসক ধর্ষণ ও খুনের অভিযোগ উঠেছে এক সিভিক ভলান্ডিয়ারের বিরুদ্ধে। মহিলা চিকিৎসকের দেহ উদ্ধারের পর থেকেই সুপারকে অপসারণের দাবি ওঠে। ঘটনার ৪৮ ঘণ্টা পর স্বাস্থ্য বিভাগ সুপারকে অপসারণের নির্দেশ জারি করল।
ময়নাতদন্তের রিপোর্ট: চিকিৎসককে খুন করে ধর্ষণ?
শুক্রবার সকালে আরজি করের চার তলায় সেমিনার হলে এক মহিলা চিকিৎসকের রক্তাক্ত, ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধার হয়। তাঁর শরীরে ১০টি আঘাতের চিহ্ন মিলেছে। প্রাথমিক ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে যে, নিহতের চোখ, মুখ, গোপনাঙ্গ, পেট, হাত এবং পায়ে আঘাতের চিহ্ন দেখা গেছে। গোপনাঙ্গ থেকে রক্তক্ষরণ হচ্ছিল। ঘটনাস্থলে অর্ধনগ্ন অবস্থায় পাওয়া যায় মৃতদেহটি। গোলাপি কুর্তি ও সাদা ওপরের পোশাক পাশে পড়ে ছিল। এছাড়াও, লাশের কাছে জিন্স ও অন্তর্বাস পাওয়া যায় এবং গোপনাঙ্গের কাছে একটি চুলের ক্লিপও খুঁজে পাওয়া গিয়েছে।
কখন ঘটনা ঘটেছিল?
নির্যাতিতার পরিবার ধর্ষণ ও খুনের অভিযোগে মামলা দায়ের করে। ময়নাতদন্তের সময় নির্যাতিতার মা ও দুই মহিলা সাক্ষী হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। পুরো প্রক্রিয়াটি ক্যামেরায় ধরা হয়। কলকাতা পুলিশের একটি বিশেষ তদন্তকারী দল (SIT) ইতিমধ্যেই গঠন করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট অনুযায়ী, ঘটনাটি আত্মহত্যার নয়, বরং যৌন নিপীড়নের পরে নৃশংস হত্যার ঘটনা। চিকিৎসককে ধর্ষণ-খুনের ঘটনায় এক জন সিভিক ভলান্টিয়ারকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, এই চিকিৎসকের ঘাড়ের হাড় ভেঙে যাওয়ার প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে, যা শ্বাসরোধের মাধ্যমে হত্যার সম্ভাবনা নির্দেশ করছে। ঘটনার সময় হিসাবে ভোর ৩টা থেকে ৬টার মধ্যে সময়কাল উল্লেখ করা হয়েছে।