scorecardresearch
 

SSC Scam : স্বস্তি মিলল না, ৯ম-১০ম শিক্ষকদের চাকরি বাতিলে স্থগিতাদেশ দিল না ডিভিশন বেঞ্চ

সিঙ্গল বেঞ্চের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয়েছিলেন এই শিক্ষকরা। কিন্তু ডিভিশন বেঞ্চে মামলা চলাকালীনই ৬১৮ জন শিক্ষকের নিয়োগ সুপারিশপত্র প্রত্যাহার করে SSC। এমনকী তাদের নামও ওয়েবসাইটেও প্রকাশ করা হয়। এবার এই মামলার প্রেক্ষিতে কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশ, ওই শিক্ষকদের চাকরি থাকবে কিনা সেই বিষয়ে সর্বশেষ সিদ্ধান্ত নেবে কমিশন।

Advertisement
হাই কোর্ট হাই কোর্ট
হাইলাইটস
  • এসএসসি দুর্নীতি মামলা
  • সিঙ্গল বেঞ্চের রায়ে হস্তক্ষেপ করল না ডিভিশন বেঞ্চ
  • স্বস্তি পেলেন না চাকরিহারারা

ডিভিশন বেঞ্চেও মিলল না স্বস্তি। শিক্ষকদের চাকরি বাতিলের মামলায় সিঙ্গল বেঞ্চের সিদ্ধান্তই বহাল রাখল কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। বুধবার আদালত পরিষ্কার জানিয়ে দেয়, সিঙ্গল বেঞ্চের রায়ে কোনও অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দেওয়া হবে না। তবে শিক্ষকদের চাকরি থাকবে কিনা সেই বিষয়ে সর্বশেষ সিদ্ধান্ত নেবে কমিশন। SSC-র শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় নবম ও দশম শ্রেণির ৯৫২ জনের বিরুদ্ধে OMR শিট বিকৃত করার অভিযোগ উঠেছিল। প্রথমে সেই মামলাটি ওঠে বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর বেঞ্চে। তাতে ওই শিক্ষকদের সুপারিশপত্র প্রত্যাহারের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল SSC-কে।

এরপরেই সিঙ্গল বেঞ্চের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয়েছিলেন এই শিক্ষকরা। কিন্তু ডিভিশন বেঞ্চে মামলা চলাকালীনই ৬১৮ জন শিক্ষকের নিয়োগ সুপারিশপত্র প্রত্যাহার করে SSC। এমনকী তাদের নামও ওয়েবসাইটেও প্রকাশ করা হয়। এবার এই মামলার প্রেক্ষিতে কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশ, ওই শিক্ষকদের চাকরি থাকবে কিনা সেই বিষয়ে সর্বশেষ সিদ্ধান্ত নেবে কমিশন। কোনও মামলাকারী দাবি করেননি যে OMR শিট বিকৃত করা হয়নি বা তা তাঁদের নয়। প্রত্যেক প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব নিয়মে চলার ক্ষমতা আছে। সেক্ষেত্রে কমিশন যদি মনে করে সেক্ষেত্রে ওই শিক্ষকদের চাকরি থাকবে, আবার কমিশন চাইলে তাদের বরখাস্তও করতে পারে। একইসঙ্গে মামলাকারীদের ফের সিঙ্গল বেঞ্চে যাওয়ার নির্দেশও দিয়েছে ডিভিশন বেঞ্চ। 

প্রসঙ্গত, নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে নেমে গাজিয়াবাদ থেকে কিছু OMR শিট উদ্ধার করা হয়। যদিও এই মামলার প্রেক্ষিতে ওই শিক্ষকদের আইনজীবীরা আগে ডিভিশন বেঞ্চে জানিয়েছিলেন যে, কমিশনের তরফেই দাবি করা হয়েছিল OMR শিট নষ্ঠ হয়ে গিয়েছে। সেক্ষেত্রে এটাই স্বাভাবিক যে, গাজিয়াবাদ থেকে যে OMR শিট গুলি উদ্ধার করা হয়েছে সেগুলি মিরর কপি। এক্ষেত্রে তাঁদের আইনজীবীদের সওয়াল ছিল, এই OMR শিটের উপর ভিত্তি করে কি আদৌ ৯৫২ জনের উপর কড়া পদক্ষেপ করা উচিত? যদিও তারপরেও এদিন ডিভিশন বেঞ্চেও স্বস্তি পেলেন না এই শিক্ষকরা। 

Advertisement

আরও পড়ুন - এই ৫ খাবারে কমবে কোলেস্টেরল-অ্যাসিডিটি-কোষ্ঠ্যকাঠিন্য; কীভাবে খাবেন?

 

Advertisement