"কিছু দুষ্কৃতী রাজ্যটাকে ধ্বংস করে দেবে, কী হচ্ছে এটা? কী করে কুন্তলের কাছে ওএমআর শিট, অ্যাডমিট কার্ড গেল, তা ইডিকে ডেকে জিজ্ঞাসা করব", সোমবার হাইকোর্টের এজলাসে এমনটাই বলতে শোনা গেল বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে। নিয়োগ দুর্নীতিতে যুক্ত থাকার অভিযোগে ইডির হাতে গ্রেফতার হয়েছেন কুন্তল ঘোষ। ইতিমধ্যেই কুন্তলের (Kuntal Ghosh) বিরুদ্ধে কোটি কোটি টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। সম্প্রতি আবার ইডি (ED) সূত্রে সামনে এসেছে, কুন্তলের চিনার পার্কের ফ্ল্যাট থেকে ওএমআর শিটও উদ্ধার হয়েছে। সেগুলি সদ্য হয়ে যাওয়া প্রাথমিক টেটের ওএমআর শিট বলে ইডি সূত্রে খবর। এবার তা কার্যত মেনে নিল পর্ষদও। তবে এক্ষেত্রে পর্ষদের সাফাই বক্তব্য, এই বিষয়ে কিছুই জানে না চারা। সংবাদমাধ্যম থেকেই তারা জানতে পেরেছে। এদিন টেট সংক্রান্ত মামলার শুনানিতে এই প্রসঙ্গই উঠে আসে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের (Justice Abhijit Gangopadhyay) এজলাসে। যা শুনে রীতিমতে বিস্ময় প্রকাশ করে এই মন্তব্য করেন বিচারপতি।
এদিন হাইকোর্টে (High Court) পর্ষদের আইনজীবী জানান, কুন্তলের বাড়ি থেকে ১৮৬টি ওএমআর শিট (OMR Sheet), অ্যাডমিট কার্ড পাওয়া গিয়েছে। এরপরই পাল্টা বিচারপতি প্রশ্ন করেন, "কারা বসে রয়েছে পর্ষদে? কী করে হয় দুর্নীতি"? তিনি আরও বলেন, "কেউ নিজে কিছু করবে না। আবার আদালত করলে তাকেই কাঠগড়ায় দাঁড় করাবে"। তাঁর সাফ কথা, "কাউকে রেয়াত করা হবে না। অতিরিক্ত শূন্যপদ তৈরি করে দুর্নীতি ঢাকার চেষ্টা করা হলে তাও বরদাস্ত করা হবে না"।
এদিকে ওয়াকিবহালমহল মনে করছে, আদালতের এদিনের পর্যবেক্ষণ অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। কারণ, অতিরিক্ত শূন্যপদ বা সুপার নিউমেরারি পদ প্রথম থেকেই আদালতের নজরে। এসএসসির ক্ষেত্রে কর্মশিক্ষা, শারীরশিক্ষায় যে অতিরিক্ত পদ তৈরি করা হয়, তা নিয়ে এর আগেই প্রশ্ন তুলেছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। এদিন কুন্তলের প্রসঙ্গে বলতে গিয়েও আরও একবার সেই কথাই উঠে আসে তাঁর মুখে।