ফের একবার রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাতের আবহ তৈরি হল বাংলায়। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস নিযুক্ত উপাচার্যদের বেতন ও আর্থিক সুবিধা বন্ধ করল রাজ্য সরকার। ১৪ জন অস্থায়ী উপাচার্য নিয়োগ করেছেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। রাজ্যকে না জানিয়েই নিয়োগ করা বিশ্ববিদ্যালয়গুলির উপাচার্যদের কোনও মাসিক বেতন ও আর্থিক সুযোগ-সুবিধা উচ্চশিক্ষা দফতর দেবে না বলে স্পষ্ট করে দিয়েছে শিক্ষা দফতর।
সম্প্রতি রাজ্যের একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নিয়োগ করেন রাজ্যপাল তথা আচার্য। শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু দাবি করেছিলেন, রাজ্য তথা শিক্ষা দফতরের সঙ্গে কোনও কথা না বলেই এই নিয়োগ করা হয়েছে। তাই এই নিয়োগ মেনে নেওয়া হবে না বলেই জানিয়ে ছিলেন তিনি। সেইমতোই রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস যেসব বিশ্ববিদ্যালয়ে রাজ্যকে এড়িয়ে ও নিজ সিদ্ধান্তে উপাচার্য নিয়োগ করেছিলেন তাদের রেজিস্টারকে চিঠি দিল উচ্চ শিক্ষা দফতর। রাজ্যকে না জানিয়েই নিয়োগ করা বিশ্ববিদ্যালয়গুলির উপাচার্যদের কোনও মাসিক বেতন ও আর্থিক সুযোগ-সুবিধা উচ্চশিক্ষা দফতর দেবে না বলে চিঠিতে স্পষ্ট জানানো হয়েছে। রাজ্যের সঙ্গে আলোচনা না করেই ওই উপাচার্যদের নিয়োগ করা হয়েছে, এই অভিযোগেই এবার কড়া পদক্ষেপ করল শিক্ষা দফতর। যদিও এনিয়ে রাজভবনের কোনও প্রতিক্রিয়া এখনও মেলেনি।
প্রসঙ্গ, বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত কার্যত বেনজির জায়গায় পৌঁছে গেছে বাংলায়। শিক্ষা দফতরের আর্জি খারিজ করে আগেই রাজ্যের ৮টি বিশ্ববিদ্য়ালয়ে নতুন অন্তর্বর্তী উপাচার্য নিয়োগ করেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। একই সঙ্গে সাপ্তাহিক রিপোর্ট দিয়েছেন এমন ৩ জন উপাচার্যের মেয়াদও বৃদ্ধি করেন তিনি। রাজভবনের এই বিবৃতির পরেই ট্যুইট করে রাজ্যপালের সিদ্ধান্তকে বেআইনি বলে আক্রমণ করেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। নবনিযুক্ত উপাচার্যদের নিয়োগ প্রত্যাখ্যানের আবেদনও করেন তিনি। এদিকে রাজ্যপালও যে নিজের অবস্থানে অনড় তা স্পষ্ট করে দিয়েছেন সিভি আনন্দ বোস।