
Hilsa: অবশেষে মিটতে চলেছে ভোজনরসিক বাঙালির চাহিদা। দিঘাতে গত একসপ্তাহে জালে উঠেছে অন্তত ৮০ টন মাছ। শুধুমাত্র গত রবিবারই উঠেছে ২৫ টন। এই মাছ দ্রুত কলকাতার বাজারে নিয়ে আসা হয়েছে। জুন মাসের মাঝামাঝি সময় থেকে ইলিশ ধরার মরসুম শুরু হয়েছিল। কিন্তু প্রতিকূল আবহাওয়া থাকার পরেও তেমন ইলিশ জালে ওঠেনি। ফলে কিছুটা আফসোস করছিলেন মৎস্যজীবীরা। তবে শেষ এক সপ্তাহে পরিস্থিতি অনেকটা বদল হয়েছে। প্রচুর ইলিশ উঠেছে জালে। আগামী কয়েকদিন এমন পরিস্থিতি থাকলে বাজারে ইলিশ আরও বেশি পরিমাণে আসবে বলে আশা করছেন মৎস্যজীবীরা।
শহরের বাজারেও ইলিশ
তবে শুধু দিঘা নয়। একই ছবি দক্ষিণ ২৪ পরগনাতেও। সেখানেও প্রচুর ইলিশ জালে উঠেছে। শহরের মানিকতলা বাজারেও ইলিশের দেখা মিলছে দেদার। সেখান থেকে ছোট বাজারগুলিতেও যাচ্ছে ইলিশ। ফলে ইলিশের দাম কিছুটা হলেও কমার সম্ভাবনা রয়েছে। আগামী কয়েকদিন পরিস্থিতি অনুকূলে থাকলে ইলিশের দাম আরও সস্তা হতে পারে আশা করছেন অনেকে। দিঘা মোহনাতেও প্রচুর ইলিশ উঠেছে। শেষ এক মাস ছবিটা মোটেও ভালো ছিল না। খুব কম ইলিশ জালে উঠছিল। আর যে ইলিশ বাজারে ছিল তা নিতান্তই ছোট ইলিশ। চড়া দামে বিকোচ্ছিল ইলিশ। ফলে মধ্যবিত্ত শ্রেণির ধরাছোঁয়ার বাইরে কার্যত ছিল ইলিশ মাছ। কিন্তু শেষ এক সপ্তাহে প্রচুর ইলিশ মাছ জালে উঠেছে।
দাম কি সস্তা ?
তবে ইলিশের দাম যে খুব একটা সস্তা হয়েছে, এমনটা নয়। দিঘায় হাফ কেজি ইলিশের দামও ৭০০ টাকার কাছাকাছি। আর এক কেজির দাম ১,২০০ থেকে ১,৫০০ টাকা। কোথাও কোথাও দামে একটু হেরফের রয়েছে। ফলে জালে উঠলেও ইলিশের দাম খুব একটা কমেনি। ফলে এখনই বাজারে ইলিশ কিনতে গেলে মধ্যবিত্তের পকেটে টান পড়ছে অনেকটাই। কিন্তু ইলিশ ব্যবসায়ীদের দাবি, দাম আগের থেকে কিছুটা কমেছে। আগে চাহিদা অনুযায়ী যোগান কম ছিল। এখন কিছুটা বেড়েছে। এমনটা যদি চলতে থাকে তাহলে ১ সপ্তাহের মধ্যে ইলিশের দামও আরও অনেকটা কমবে।