ভাইফোঁটা মানে দেদার খাওয়া-দাওয়া। এই বিশেষ দিনটিতে দিদিরা ভাইকে খাওয়ান। তাঁর পছন্দের পদ রান্না করেন। মাছ-মাংস-হরেক রকমের সবজি, মিষ্টি তুলে দেন পাতে। তবে ইচ্ছে থাকলেও সামর্থ্য সবার থাকে না। কারণ, বাজারদর। বুধবার ভাইফোঁটা। মঙ্গলবার থেকেই বাজারে কেনাকাটা শুরু হয়ে যাবে। তার আগে দেখে নিন বাজারদর।
ভাইফোঁটার খাওয়া দাওয়া শুরু হয় সেই সকাল থেকে। কপালে ফোঁটা দেওয়ার পরই ভাইয়ের হাতে দিদিরা দেন ফল, মিষ্টি, লুচি, তরকারি ইত্যাদি। তারপর দুপুরের খাওয়া-দাওয়া। বলা ভালো ভুঁড়িভোজ। নানা ধরবেন ভাজাভুজি, মাছ, মাংস দেওয়া হয় পাতে।
প্রথমেই দেখে নেব সবজির বাজার দর- আলু এখন বিক্রি হচ্ছে ৩৫ টাকা কেজি দরে। সেখানে এক একটি ফুলকপির দাম প্রায় ৪৫ থেকে ৫০ টাকা। দুটো নিলে ৮০ টাকা। শসা বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা প্রতি কেজি। গাজর, টমেটো যথাক্রমে ৬০ ও ৮০ টাকা প্রতি কেজি। পেঁয়াজের দামে আগুন। প্রতি কেজির দাম ৮০ টাকা। কুমড়ো ৪০ টাকা কেজি। বেগুন ৬০ টাকা।
এবার দেখে নেব মাংস ও মাছের দর
খাসির মাংসের দাম এখন ৮৪০ থেকে ৮৮০ টাকা। কোথাও কোথাও আবার ৯০০ টাকা কেজি দরেও বিক্রি হচ্ছে। মুরগির মাংসের দাম যদিও তুলনামূলকভাবে কমই। কলকাতায় প্রতি কেজি মাংস বিক্রি হচ্ছে ১৬০ থেকে ১৭০ টাকা কেজি দরে। সেখানে দেশি মুরগির দাম বেশিই। প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে, ৩৫০ টাকায়।
মাছের বাজারেও আগুন। বাংলাদেশের ইলিশের দেখা নেই। মাছ আমদানি বন্ধ। ফলে ইলিশের দাম বেশ চড়া। বড় সাইজের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ১৫০০ টাকা কেজি দরের আশপাশে। ছোটো সাইজ হলে দাম তাও কম। এছাড়াও পমফ্রেট ৩৫০-৪০০ প্রতি কেজি। চিতল মাছ ৫৫০-৬০০ টাকা। গলদা চিংড়ি ৬৫০-৭০০ টাকা। কাতলা গোটা ৩৭০ টাকা, কাটা ৪০০ টাকা। রুইমাছ ২৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
মিষ্টির দামও বাড়তে শুরু করেছে। এমনিতেই দীপাবলির সময় থেকেই মিষ্টির দাম বেড়েছে। আর ভাইফোঁটাতে আরও বাড়বে সেটাই স্বাভাবিক। এমনিতেই বাজাকে ৭ থেকে ৮ টাকা পিসের নিচে কোনও মিষ্টি নেই। যে মিষ্টির দাম ছিল ১০ টাকা তাই এখন বিক্রি হচ্ছে ১৫ টাকা।