প্রতি বছরই ২১ জুলাইয়ের মঞ্চে চমকের ইঙ্গিত দেয় তৃণমূল কংগ্রেস। বঙ্গ রাজনীতিতে এখন জোরদার চর্চা চলছে দিলীপ ঘোষকে নিয়ে। দলের সঙ্গে মনমালিন্যের জেরে তবে কি শহিদ দিবসের মঞ্চে দেখা যেতে পারে এই দাপুটে নেতাকে? তাঁর নানা মন্তব্য জল্পনাকে আরও উস্কে দিয়েছে। এর মাঝেই চর্চায় BJP বিধায়ক হিরণ চট্টোপাধ্যায়কে নিয়েও। রটেছে, ২১ জুলাইয়ের মঞ্চে জোড়াফুল পতাকা হাতে তুলে নিতে পারেন তিনিও। এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়া দিলেন খোদ খড়গপুর সদরের BJP বিধায়ক।
কী বললেন হিরণ?
পদ্ম শিবির ছেড়ে হিরণ চট্টোপাধ্যায়ের ঘাসফুল শিবিরে যাচ্ছেন? প্রশ্ন শুনে বেশ বিরক্ত হলেন BJP বিধায়ক। bangla.aajtak.in-এ হিরণ বলেন, 'এই সমস্ত অবান্তর কোনও প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার জন্য আমি সময় নষ্ট করতে চাই না। আমার এইটুকু সময়ের মূল্য আছে। এই অবান্তর প্রশ্নের উত্তর দেওয়া আমার কাছে দুঃখজনক।' এরপরই দিলীপ ঘোষ সম্পর্কে তিনি বলেন, 'সবাই বলছে, আমার ওখানকার প্রাক্তন সাংসদ তিনি নাকি জয়েন করছেন। আমার সম্পর্কে এই সব কথা কেউ বলছে না।'
বিধানসভায় তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে সবচেয়ে বেশি সরব হয়েছেন তিনিই, একথা স্মরণ করিয়ে হিরণ বলেন, 'বিধানসভাতে সবচেয়ে বেশি প্রতিবাদ আমি করেছি। ট্রেজারি কেলেঙ্কারি, হিউম্যান রাইটস কমিশন থেকে শুরু করে কৃষক আত্মহত্যা, মহিলা কমিশন, ওয়েস্ট বেঙ্গল পাবলিক সার্ভিস রাইট টু কমিশন নিয়ে আমিই প্রথম সরব হয়েছি। যত বড় কেলেঙ্কারি হিরণ চট্টোপাধ্যায়ই সামনে এনেছে। পয়সা দিয়ে ওরা পুরস্কার কেনে সেটা পর্যন্ত আমার বলা। তারপরও যদি এমন অবান্তর প্রশ্ন করে আমার সময় নষ্ট করা হয়, তাহলে তো মুশকিল।'
মমতার সমালোচনা
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমালোচনাও করেন হিরণ। তাঁর কথায়, 'আমাদের রাজ্যের মুখ্যসচিব থেকে শুরু করে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের DG, কলকাতার পুলিশ কমিশনার সকলেই অবাঙালি। রাজ্যটাকে মুখ্যমন্ত্রী চালাচ্ছেনই অবাঙালিদের নিয়ে। উনি এমন একজন মুখ্যমন্ত্রী যাঁর সনাতন হিন্দু ধর্ম এবং বাঙালিদের প্রতি বিদ্বেষ রয়েছে। আমাদের দুর্ভাগ্য যেখানে আমরা বাংলা ভাষায় বাঁচি, নিঃশ্বাস নিই সেখানে এমনটা হচ্ছে। তাই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী জয় শ্রীরাম বললেস জয় মা দুর্গা বা কালী বললে উনি রেগে যাচ্ছেন। রামচন্দ্রের নাম নেওয়াকে উনি গালাগাল মনে করেন। উনি ভারতের ইতিহাসে একটি বিরলতম মুখ্যমন্ত্রী। বিরলতম প্রজাতিরা বিলুপ্ত হয়ে যায় পৃথিবী থেকে। ঠিক তেমন ভাবে বিরলতম মুখ্যমন্ত্রীও ২০২৬ সালে বিলুপ্ত হয়ে যাবেন।'