২৯ নভেম্বর ধর্মতলায় ভিক্টোরিয়া হাউসের সামনে সভা করবেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সেই সভা থেকে লোকসভা ভোটের দামামা বাজাবেন অমিত শাহ। সাফ জানিয়ে দিল বঙ্গ বিজেপি। রাজনৈতিক মহলে জল্পনা শুরু হয়েছিল, আগামী ২৪ ডিসেম্বর কলকাতার ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ডে লক্ষ কণ্ঠে গীতাপাঠ কর্মসূচিকে সফল করতে কলকাতায় আসছেন অমিত শাহ। কারণ, সেই গীতাপাঠের আসরে আসতে পারেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তবে বঙ্গ বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য জানালেন, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কলকাতায় এসে ২৪-এর লোকসভা ভোটের সুর বেঁধে দেবেন, সেটাই স্বাভাবিক।
শমীক ভট্টাচার্য বলেন, 'এই সভা থেকে লোকসভা ভোটের সুর বেঁধে দেবেন মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সেটাই তো স্বাভাবিক। আমরা এই নিয়ে আশাবাদীও। যিনি দলটাকে সামনে থেকে পরিচালনা করেন, নেতৃত্ব দেন, দলের কর্মীদের মনোবল বাড়ান তাঁর নাম অমিত শাহ। সামনেই লোকসভা নির্বাচন। এই ভোটের আগে অমিত শাহর আসা তো গুরুত্বপূর্ণ বটেই।'
কত লোকের সমাবেশ হতে পারে এই সভায় ? শমীক ভট্টাচার্য বলেন, 'এই সভায় জনপ্লাবন হবে। কারণ, শুধু পার্টির লোক তো আসবে না, সবস্তরের মানুষের জমায়েত হবে। ২০১৪ সালের ৩০ নভেম্বর এভাবেই সমাবেশ করেছিলাম। তখনও অমিত শাহ এসেছিলেন। আদালতের বদান্যতায় সেই সভা হয়েছিল। এবারও তাই হল। বিজেপির এই সভায় আমাদের রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতি মানুষের ক্ষোভ-হতাশার প্রতিফলন দেখতে পাবেন। জনপ্লাবন হবে।'
বুধবার সেই সভাস্থলে দেড়ঘণ্টা থাকবেন শাহ। তা নিয়ে ইতিমধ্যেই তোড়জোড় শুরু করে দিয়েছে বঙ্গ বিজেপি। এই সভায় প্রায় ৪ লক্ষ লোক জমায়েতের লক্ষ্য নিয়ে আগে থেকেই প্রচার শুরু করেছিলেন শুভেন্দু অধিকারী-সুকান্ত মজুমদাররা। তবে সেই লক্ষ্য পূরণ হবে কি না সেটাই এখন দেখার।
সফরসূচি অনুযায়ী কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী দুপুর একটা ১৫ মিনিট নাগাদ কলকাতা বিমানবন্দরে আসবেন। তারপর সেখান থেকে বায়ুসেনার বিশেষ হেলিকপ্টারে করে রেসকোর্স ময়দানে এসে পৌঁছাবেন দুপুর ১:৩৫ মিনিট নাগাদ। রেসকোর্স ময়দানে পৌঁছে তারপর সড়কপথে ধর্মতলার জনসভা স্থলে দুপুর ১টা ৪৫ মিনিট নাগাদ পৌঁছবেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। একটা ৪৫ মিনিট থেকে বিকেল ৩টে ১৫ মিনিট পর্যন্ত ধর্মতলার সভাস্থলেই থাকবেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তারপর দুপুর ৩টে ২০ মিনিট নাগাদ রেসকোর্স ময়দান থেকে হেলিকপ্টারে করে কলকাতা বিমানবন্দরের উদ্দেশ্যে রওনা দেবেন অমিত শাহ।
প্রসঙ্গত, ধর্মতলায় বিজেপির সভা করা নিয়ে নিয়ে আপত্তি জানিয়েছিল কলকাতা পুলিশ। কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল বিজেপি। হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চ বিজেপির এই সভার অনুমতি দিলেও রাজ্য সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে আবেদন করে। সিঙ্গল বেঞ্চের রায়কেই বহাল রাখে ডিভিশন বেঞ্চ।