হাওড়ার জগৎবল্লভপুরে ঘটল এক অবাক করা ঘটনা। ওজন বেশি হওয়ায় এক মহিলার থেকে গাড়ির চালক দ্বিগুণ ভাড়া দাবি করেছেন! প্রকাশ্যে এমন বডি শেমিংয়ের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।
কি ঘটেছিল ঠিক?
সূত্রের খবর, পাতিহাল এলাকার বাসিন্দা আশা কর্মী পাপিয়া মান্না প্রতিদিনের মতো কাজ শেষে ডোমজুড় থেকে বাড়ি ফেরার জন্য মুন্সিরহাট রোডের একটি শাটেল গাড়িতে ওঠেন। কিন্তু গাড়িতে বসতেই চালক তাঁকে জানান, যেহেতু তাঁর ওজন বেশি, তাই তাঁকে ডবল ভাড়া দিতে হবে!
এমন অদ্ভুত দাবি শুনে হতবাক হয়ে যান ওই মহিলা। তবে অযথা বিতর্কে না গিয়ে তিনি বাড়তি ভাড়া দিতেও রাজি হয়ে যান। কিছুদূর যাওয়ার পর তাঁর এক পরিচিত ব্যক্তি সেই গাড়িতে ওঠেন এবং পাপিয়া দেবীর পাশের আসনেই বসেন।
এই দৃশ্য দেখে চালকের আচরণ আরও অবাক করার মতো হয়। তিনি বলেন, যেহেতু পাপিয়া দেবী মোটা, তাই তাঁর জন্য পুরো আসনটিই বরাদ্দ ছিল। ফলে তাঁর পাশাপাশি কেউ বসলে তাঁকেও ভাড়া দিতে হবে! অর্থাৎ একই আসনের জন্য তিনজনের ভাড়া দাবি করেন ওই চালক।
চরম উত্তেজনা এলাকায়
এ নিয়ে গাড়ির চালকের সঙ্গে শুরু হয় বাকবিতণ্ডা। পরিস্থিতি চরমে ওঠে জগৎবল্লভপুরের পাতিহাল হাটতলা এলাকায়। মুহূর্তের মধ্যে রাস্তায় যানজট তৈরি হয়। স্থানীয় বাসিন্দারা বিষয়টি নিয়ে প্রতিবাদ জানান।
চালকের দাবি, "ওই মহিলা মোটা হওয়ার কারণে তিনি ডবল ভাড়া চেয়েছেন। এতে অন্যায় কিছু নেই!"
বিতর্ক তুঙ্গে
এই ঘটনায় চরম ক্ষোভ ছড়িয়েছে এলাকাবাসীর মধ্যে। মহিলাকে এইভাবে অপমান করা এবং অযৌক্তিকভাবে বেশি ভাড়া চাওয়াকে অন্যায় বলে মনে করছেন সকলে। প্রশ্ন উঠছে, এভাবে প্রকাশ্যে বডি শেমিংয়ের ঘটনা ঘটলে সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা কোথায়?
সংবাদদাতা- বৈদ্যনাথ ঝা