scorecardresearch
 

Hsld Mk 2 Missile: পাকিস্তানের যে কোনও এয়ারপোর্ট উড়বে নিমেষে, শক্তিশালী বোমা ভারতের হাতে, কীরকম?

ভারতীয় বিমানবাহিনীর কাছে এমন বোমা রয়েছে যা পাকিস্তান বা চিনের লক্ষ্যবস্তুকে কবরস্থানে পরিণত করতে পারে। কিন্তু একটি বোমা দিয়ে পুরো বিমানবন্দর উড়িয়ে দেওয়া। অথবা আপনি যদি চিনের সুপারফাস্ট বুলেট ট্রেনকে টার্গেট করতে চান... ভারতের কাছে HSLD-Mk2 মিসাইল আছে। আসলে এটি দেখতে বোমার মতো হলেও এর বৈশিষ্ট্য রয়েছে ক্ষেপণাস্ত্রের মতো। এই ক্ষেপণাস্ত্রটি তৈরি করছে ভারতীয় প্রতিরক্ষা গবেষণা ও উন্নয়ন সংস্থা (DRDO)।

Advertisement
ফাইল ছবি। ফাইল ছবি।
হাইলাইটস
  • ভারতীয় বিমানবাহিনীর কাছে এমন বোমা রয়েছে যা পাকিস্তান বা চিনের লক্ষ্যবস্তুকে কবরস্থানে পরিণত করতে পারে।
  • কিন্তু একটি বোমা দিয়ে পুরো বিমানবন্দর উড়িয়ে দেওয়া।

ভারতীয় বিমানবাহিনীর কাছে এমন বোমা রয়েছে যা পাকিস্তান বা চিনের লক্ষ্যবস্তুকে কবরস্থানে পরিণত করতে পারে। কিন্তু একটি বোমা দিয়ে পুরো বিমানবন্দর উড়িয়ে দেওয়া। অথবা আপনি যদি চিনের সুপারফাস্ট বুলেট ট্রেনকে টার্গেট করতে চান... ভারতের কাছে HSLD-Mk2 মিসাইল আছে। আসলে এটি দেখতে বোমার মতো হলেও এর বৈশিষ্ট্য রয়েছে ক্ষেপণাস্ত্রের মতো। এই ক্ষেপণাস্ত্রটি তৈরি করছে ভারতীয় প্রতিরক্ষা গবেষণা ও উন্নয়ন সংস্থা (DRDO)।

ভারতীয় বায়ুসেনার জাগুয়ার এবং সুখোই Su-30MKI ফাইটার প্লেনেও HSLD বোমা মোতায়েন করা হয়েছে। ভারতের স্বনির্ভর মিশনের অধীনে এ ধরনের অস্ত্রের উৎপাদন বাড়ানোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। যাতে আমাদের বিমানবাহিনীর অভাব না হয়। কারণ এই বোমাটি পাকিস্তান বা চিনের যেকোনও বিমানবন্দরকে পুরোপুরি ধ্বংস করে দিতে পারে।
এখন এর মার্ক-৩ সংস্করণের প্রস্তুতিও চলছে। এই বোমার পুরো নাম হাই স্পিড লো ড্র্যাগ (HSLD) বোমা। এটি ভারতের পরবর্তী প্রজন্মের শর্ট বোমা। একে স্বল্প-পরিসরের এয়ার-ড্রপ প্রিসিশন গাইডেড মিশনও বলা হয়। ডিআরডিও এটির উন্নয়ন করছে। কিন্তু মিসাইল আকারে। যাতে সঠিকভাবে লক্ষ্য করা যায়।

এই ক্ষেপণাস্ত্রটি বিমান বাহিনীর যেকোনও ফাইটার জেটে স্থাপন করা হবে। উন্নয়নের পর এটির মাধ্যমে খুব গুরুত্বপূর্ণ শত্রু লক্ষ্যবস্তুতে আক্রমণ করা সহজ হয়ে যাবে। তারাও তা না করে সেই লক্ষ্যের কাছাকাছি চলে গেছে। এটি একটি সাধারণ উদ্দেশ্য বোমা। যা বিমান বাহিনীর অনেক ফাইটার জেটে বসানো যাবে। যেমন- Mirage-2000, MiG-29, Jaguar, 30 MKI এবং Tejas ফাইটার। এই অস্ত্রের চাহিদা থাকায় এর আধুনিক সংস্করণ তৈরির প্রস্তুতি চলছে।

আরও পড়ুন

বিমান বাহিনী সুখোই Su-30 MKI ফাইটার জেটের PGHSLD 500 (Precision Guided High Speed ​​Low Drag Bomb) বোমা সফলভাবে পরীক্ষা করেছে। এতে নতুন ক্ষেপণাস্ত্রের নির্ভুলতা সম্পর্কে তথ্য পাওয়া গেছে। এই ক্ষেপণাস্ত্র ভারতীয় কারখানায় তৈরি হলে খরচ কম হবে। বোমার ঘাটতি প্রচুর পরিমাণে পূরণ করা যায়। এই বোমাটি ২০১৩ সাল থেকে ভারতীয় বিমান বাহিনীতে কাজ করছে। তবে এখন এর অত্যাধুনিক সংস্করণ তৈরির প্রস্তুতি চলছে। 

Advertisement

এই অস্ত্রের বিশেষত্ব কি? - এখন পর্যন্ত ৫ হাজারের বেশি HSLD বোমা তৈরি হয়েছে। - ওজন অনুযায়ী চারটি রূপ। ১০০, ২৫০, ৪৫০ এবং ৫০০ কেজি। - দৈর্ঘ্য ৭৪.৮০ ইঞ্চি। ওয়ারহেড ওজন ১১০ থেকে ১৭৯ কেজি। - রেঞ্জ ১০ কিমি থেকে ৩০ কিমি। - ৫ কিমি থেকে নেমে যাওয়ার পর রেঞ্জ ২১ কিমি। - ২ কিমি থেকে নেমে যাওয়ার পর রেঞ্জ হল ১৩.৫ কিমি। - ১০ থেকে ১৫০ কিলোমিটার উচ্চতায় উড়তে সক্ষম। - ঘন্টায় ১৩১২ কিমি বেগে শত্রুর দিকে অগ্রসর হয়।

 

Advertisement