Kolkata Fire: এজরা স্ট্রিটে এখনও পকেট ফায়ার, অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা না থাকার অভিযোগ কাউন্সিলরের

কলকাতার আলোর বাজার এজরা স্ট্রিটের একটি গোডাউনে ভয়াবহ আগুন লাগে শনিবার সাত সকালে। ঘিঞ্জি এলাকা হওয়া আগুন নেভাতে হিমশিম খাচ্ছে দমকল। ক্ষোভ উগরে দিচ্ছেন স্থানীয়রা।

Advertisement
এজরা স্ট্রিটে এখনও পকেট ফায়ার, অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা না থাকার অভিযোগ কাউন্সিলরেরএজরা স্ট্রিটে ভয়াবহ আগুন
হাইলাইটস
  • কলকাতার এজরা স্ট্রিটে আগুন
  • হিমশিম খাচ্ছে দমকলের ২০ ইঞ্জিন
  • খালি করা হচ্ছে এলাকা

শনিবার সাত সকালে কলকাতায় ভয়াবহ আগুন। এজরা স্ট্রিটের একটি গোডাউনে আগুন লেগে যায় এদিন ভোর সাড়ে ৫টা নাগাদ। ঘিঞ্জি এলাকা হওয়ায় আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে। ধোঁয়ায় ভরে যায় চতুর্দিক। ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে দমকলের ২৫টি ইঞ্জিন। আগুন নেভানোর সবরকম চেষ্টা চালাচ্ছে তারা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে রীতিমতো হিমশিম খাচ্ছে দমকল। তবে আগুনের লেলিহান শিখা ক্রমশই ছড়িয়ে পড়তে শুরু করেছে আশপাশে। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে পুলিশ এলাকা খালি করার চেষ্টা করছে। বিপুল ক্ষতির আশঙ্কাও রয়েছে এজরা স্ট্রিটে। মাথায় হাত ব্যবসায়ীদের। আতঙ্কে এলাকাবাসী। 

যে গোডাউনে আগুন লেগেছে সেখানে প্রচুর বৈদ্যুতিন সরঞ্জাম এবং বৈদ্যুতিক তার মজুত ছিল। দাহ্য পদার্থ হওয়ায় আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। তবে স্থানীয়দের অভিযোগ, খবর পাওয়ার পরও দমকল ঘটনাস্থলে পৌঁছতে অনেক দেরি করে ফলে আগুন আরও বেশি ছড়িয়ে পড়ে। সকাল সাড়ে ৮টা পর্যন্ত আগুনের উৎসস্থলে পৌঁছতে পারেনি দমকল। গ্রিল কেটে ভিতরে প্রবেশ করার চেষ্টা করছেন দমকল কর্মীরা। তবে কালো ধোঁয়ায় এলাকা ঢেকে যাওয়ায় বেগ পেতে হচ্ছে তাদের। 

কীভাবে এই আগুন লাগল, তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে প্রাথমিক ভাবে অনুমান করা হচ্ছে শর্ট সার্কিট থেকেই এই অগ্নিকাণ্ড। দমকল এখনও নিশ্চিত ভাবে কিছু জানাতে পারেনি। 

মূলত আলোর বাজার হিসেবে বিখ্যাত এই এজরা স্ট্রিট। সরু ঘিঞ্জি রাস্তায় রয়েছে আলোর সামগ্রীর একাধিক দোকান ও গোডাউন। ফলে দ্রুত আগুন ছড়িয়ে পড়েছে। এছাড়াও আশপাশের একাধিক বিল্ডিংয়েও অপ্রীতিকর ঘটনার আশঙ্কায় স্থানীয়দের বের করে নিয়ে যওয়ার চেষ্টা হচ্ছে। দমকলের তরফে মাইকিং করা হচ্ছে স্থানীয়দের নিরাপদ স্থানে সরে যাওয়ার জন্য। ঘটনাস্থলে উপস্থি রয়েছে পুলিশের বিশাল টিম। যদিও কোনও হতাহতের খবর নেই। কেউ ভিতরে আটকেও নেই। তবে প্রচুর ক্ষতির আশঙ্কা ব্যবসায়ীদের। 

এদিকে, স্থানীয় কাউন্সিলর সন্তোষ পাঠকের অভিযোগ, গত ২২ বছর ধরে তিনি দেখেছেন ওই বিল্ডিংয়ে কোনও অগ্নিসুরক্ষা বন্দোবস্ত নেই। বেআইনি ভাবে বসবাস এবং গোডাউন চলছে। মেয়র এবং কলকাতা পুলিশের কাছে তিনি নালিশ জানিয়েছিলেন। চিঠি দেওয়া সত্ত্বেও তেমন ভাবে কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি। 

Advertisement

দীর্ঘক্ষণের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে বলে জানান দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু। তিনি পৌঁছন ঘটনাস্থলে। তাঁর বক্তব্য, 'অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা ছিল কি না, তা খতিয়ে দেখা হবে।'

 

POST A COMMENT
Advertisement