পার্থ চট্টোপাধ্যায়, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, অনুব্রত মণ্ডলরা দুর্নীতি ইস্যুতে জেলে। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী সহ রাজ্য বিজেপি-র ছোটবড় নেতারা বারবার ইডি, সিবিআই তদন্ত নিয়ে তৃণমূল নেতাদের হুঁশিয়ারি দিচ্ছেন। আজ অর্থাত্ বৃহস্পতিবার নেতাজি ইন্ডোরে দলীয় সভায় তৃণমূলের প্রবীণ নেতাদের পাশে দাঁড়ালেন তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ফিরহাদ হাকিমের নাম করে মমতার বক্তব্য, তিনি বিশ্বাস করেন না ফিরহাদ, জ্যোতিপ্রিয়, পার্থ চট্টোপাধ্যায়রা চোর।
মমতার কথায়, 'আমরা জিন্দা লাশ হয়ে বেঁচে আছি। সারা শরীরে মারের চোট। ববি সে দিন আমায় বলছিল, দিদি আমার কোমরে খুব ব্যথা হচ্ছে। বললাম কেন? বলল, ওই যে মার খেয়েছি। ডান্ডার পর ডান্ডা খেয়েছি। বক্সিদা, ডান্ডার পর ডান্ডা খেয়েছে। বালুকে নিয়ে গেছে জেলে। ডান্ডার পর ডান্ডা খেয়েছে। এরা অনেক ডান্ডা খেয়েছে। অনেক লড়াই করেছে। আমার অনেক লড়াইয়ের সাথী মনে রাখবেন। আমি বিশ্বাস করি না, এরা চোর। এদের লক্ষ্য এখন মহুয়াকেও তাড়িয়ে দেওয়া। তাতে তো ও পপুলার হয়ে যাবে তিনমাসের জন্য। যেটা সংসদের ভিতরে বলত, সেটা বাইরে বলবে। কী যায় আসে! মুর্খ না হলে কেউ জিনিস করে?'
লোকসভা ভোটের আগে তৃণমূল কংগ্রেসের ব্লকস্তরের নেতাদের মমতার বার্তা, 'আমাদের আরও জাগ্রত হতে হবে। দিদি বলল, তবে করতে হবে। অভিষেক বলল, তবে করতে হবে। ববি বলল তবে করতে হবে। অরূপ বলল, তবে করতে হবে। চন্দ্রিমা বলল, তবে করতে হবে। না। হবে না। এটা নিজেদের দায়িত্ব। অনেক জায়গায় ব্লক সভাপতি চেঞ্জ হয়েছে। তাঁরা ভাবছেন, আমি কি হারিয়ে গেলাম? না। ওয়ান ম্যান ওয়ান পোস্ট করা হয়েছে। আমাকে দুটো পোস্ট দেওয়া হয়েছে। কেন দিয়েছে, জানি না।'
দলের বিধায়কদের তৃণমূলনেত্রী বলেন, 'আবার দিল্লি যেতে হবে। আমাদের ২৪ তারিখ থেকে বিধানসভা চালু হচ্ছে। আমি এমএলএ-দের বলব, ২৭,২৮,২৯,৩০, অনেক বিধায়ক আসেন না। পার্টিকে না জানিয়ে বিধানসভায় আসছেন না, এটা ঠিক নয়। আপনাকে প্রেজেন্ট থাকতে হবে।'