বাংলায় 'অপারেশন বেঙ্গল'-র ডাক দিয়েছে বিজেপি। সেই মন্তব্যের জবাবে মমতা পাল্টা চ্যালেঞ্জ ছুড়ছেন। বিজেপিকে কালই ভোট করানোর চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছেন তিনি। এনিয়ে আবার পাল্টা মন্তব্য করেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর দাবি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে হারানোর জন্য তিনিই যথেষ্ট।
বৃহস্পতিবার আলিপুরদুয়ারে প্রধানমন্ত্রীর জনসভা থেকে রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের দামামা বেজে গেল কার্যত। সেই সভা থেকে নানা ইস্যুতে রাজ্য সরকার ও তৃণমূলকে আক্রমণ শানান প্রধানমন্ত্রী। সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের মুখে উঠে এল ‘অপারেশন পশ্চিমবঙ্গের’ কথা। মোদীজির নেতৃত্বে এই বিজেপি নেতারা এই ‘অপারেশন পশ্চিমবঙ্গ’ করবে বলেও উল্লেখ করেন সুকান্ত। আর বিজেপির রাজ্য সভাপতির এই মন্তব্যের তীব্র নিন্দা করেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
বাংলার মুখ্যমন্ত্রী বলেন,'অপারেশন সিঁদুর নামটি রাজনৈতিকভাবে জন্য দেওয়া হয়েছিল। সমস্ত বিরোধী দল ঐক্যবদ্ধ এবং বিশ্বের কাছে পৌঁছচ্ছে এবং সেই সময়ে রাজনৈতিক হোলি খেলা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী যা বলেছেন তা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। সমস্ত রাজনৈতিক দল দেশের স্বার্থ রক্ষার জন্য বিশ্বজুড়ে ঘুরছে। তারা অপারেশন বেঙ্গল করার চেষ্টা করছে। আমি তাদের চ্যালেঞ্জ জানাই, আগামীকাল নির্বাচন ডাকুন। তিনি কীভাবে অপারেশন বেঙ্গল বলার সাহস পান? যদি তাই হয়, তাহলে আগামীকাল নির্বাচন ডাকুন, আমরা প্রস্তুত। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়ও দেশের পক্ষে আওয়াজ তুলছেন। আর প্রধানমন্ত্রী আমাদের সরকারের সমালোচনা করছেন। বিরোধীদের দোষারোপ করছেন। মোদী বাংলার মহিলাদের অসম্মান করেছেন। আমরা সকলকে সম্মান করি। কিন্তু নিজের আত্মসম্মানের বিনিময়ে নয়।'
জবাবে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, 'মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মহিলাদের সিঁদুর মুছতে ভালবাসেন। হরগোবিন্দ দাস, চন্দন দাসের স্ত্রীদের সিঁদুর তো উনিই মুছেছেন। ওনার মেহবুব আলম মুছেছেন। মোদীজির সঙ্গে লড়তে হবে না। আমি লড়েই হারিয়েছি। আবার ২০২৬ সালে হারাব। মোদীর সঙ্গে কী লড়বেন? মোদীজি একটা গঙ্গা, মহা সমুদ্র। উনি কালীঘাটের নালা। কার সঙ্গে কার তুলনা করছেন। আমি হারিয়েছি, আগে আমার সঙ্গে লড়ুন, তারপর মোদীজি। বাংলায় নির্বাচন রাষ্ট্রপতি শাসনে হবে। ২০০ সিটে হারবেন। উনি থার্ড হবেন। অন্যরা সেকেন্ড হবেন। পাঞ্জাবে কংগ্রেসের যা অবস্থা হয়েছে। এর অবস্থাও তাই হবে। পশ্চিমবঙ্গে ভোট হয় নাকি? আজকেও নরেন্দ্র মোদীর সভায় আসার সময় ২৫টা বাস ভেঙেছে। আমাদের রাজবংশী মানুষরা আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। রাষ্ট্রপতি শাসনে ভোট করুন না। উনি হিন্দু বিরোধী, আজকের কথা শুনে মনে হয়েছে তিনি মহিলা বিরোধী মুখ্যমন্ত্রী। অভয়ার বাবা মাকে কিনতে গিয়েছিলেন ১০ লক্ষ টাকা দিয়ে। প্রধানমন্ত্রীকে যেভাবে আক্রমণ করলেন তার উত্তর বাংলার মানুষ দিয়ে দেবে। ২৬ সালে বাংলার মানুষ প্রাক্তন করে দেবে। ভবানীপুরে হারাব।'