scorecardresearch
 

Jyotirmay Singh Mahato : 'জঙ্গলমহলে বাড়ছে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশ', অমিত শাহকে চিঠি সাংসদ জ্যোতির্ময়ের

চিঠিতে উল্লেখ, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম এবং পশ্চিম মেদিনীপুরের বাংলাদেশিদের আগমন বেড়েছে। যার জেরে সেখানকার সংস্কৃতি ও অর্থনীতি প্রভাবিত হচ্ছে।

Advertisement
jyotirmay singh mahato jyotirmay singh mahato
হাইলাইটস
  • 'জঙ্গলমহলে বাড়ছে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশ'
  • অমিত শাহকে চিঠি সাংসদ জ্যোতির্ময়ের

জঙ্গলমহলে বাড়ছে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশের সমস্যা। তার জেরে সেই সব অঞ্চলের মানুষ সমস্যার সম্মুখীন। অর্থনৈতিক, সামাজিক ক্ষেত্রে তাঁদের চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হচ্ছে। এই সমস্যা নিরসনের জন্য সীমান্তে আরও নিরাপত্তা দরকার। কেন্দ্রীয় সরকারের হস্তক্ষেপ প্রয়োজন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে লিখলেন পুরুলিয়ার সাংসদ জ্যোতির্ময় সিং মাহাতো। এই চিঠিটি এক্স হ্যান্ডেলে পোস্টও করেছেন তিনি। 

চিঠিতে উল্লেখ, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম এবং পশ্চিম মেদিনীপুরের বাংলাদেশিদের আগমন বেড়েছে। যার জেরে সেখানকার সংস্কৃতি ও অর্থনীতি প্রভাবিত হচ্ছে। অনুপ্রবেশদের জন্য এই অঞ্চলের জনসংখ্যার ভারসাম্য বিঘ্নিত হয়েছে। চিঠিতে মাহাতোর উল্লেখ, 'ঝাড়খণ্ডের সাহেবগঞ্জে আপনার সাম্প্রতিক বক্তৃতা খুব প্রাসঙ্গিক। আপনি বলেছেন, অনিয়ন্ত্রিত অনুপ্রবেশ আগামী কয়েক দশকের মধ্যে জনসংখ্যায় প্রভাব ফেলতে পারে। এই সমস্যা শুধু ঝাড়খণ্ডেই সীমাবদ্ধ নয়। পশ্চিমবঙ্গেও এর প্রভাব পড়েছে গভীরভাবে।'

জ্যোতির্ময় সিং মাহাতো জানিয়েছেন, অনুপ্রবেশের জেরে স্থানীয় হিন্দু এবং উপজাতী জনগোষ্ঠী চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি। অনুপ্রবেশকারীরা নানা এলাকায় ছড়িয়ে পড়ছে। অবৈধভাবে জমি দখল, জাল বিয়ে, পরিচয় জালিয়াতির মতো অভিযোগ সামনে আসছে।  এতে স্থানীয় বাসিন্দারা কাজ হারাচ্ছে, তাঁরা সঙ্কটে পড়েছে। অনেককে পৈতৃক জমি থেকে  বাস্তুচ্যুত করা হচ্ছে। 

আরও পড়ুন

রাজলনৈতিক দলগুলো এই অনুপ্রবেশের বিরোধিতা করছেন না বলেও দাবি করেছেন পুরুলিয়ার সাংসদ। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে তিনি চিঠিতে জানান, উদ্বেগের বিষয় হল, এই সংকটকে কিছু রাজনৈতিক দলই উপেক্ষা করছে না বরং তৃণমূল কংগ্রেস (TMC) এবং INDI জোটের তাঁর সহযোগীরা সক্রিয়ভাবে সহায়তা করছে। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলাদেশি নাগরিকদের রাজ্যে আশ্রয় নেওয়ার জন্য খোলাখুলি আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। তাঁর লক্ষ্য অবৈধ অভিবাসীদের ভোটব্যাঙ্ক তৈরি করা। ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনও এই সমস্যার সমাধান করতে ব্যর্থ হয়েছেন। 

Advertisement

Advertisement