বিধানসভা ভোটে ভরাডুবি। তৃণমূল থেকে যে জোয়ার এসেছিল,হারের পর ভাটা রাজ্য বিজেপিতে। বহু জায়গায় কর্মীরা নিষ্ক্রিয়। বিজেপি হাওয়া অনেকটাই থিতিয়ে গিয়েছে। এ সব নিয়ে ইন্ডিয়া টুডে কনক্লেভ ইস্টে মুখ খুললেন দিলীপ ঘোষ।
একুশের বিধানসভা ভোটের আগে একের পর এক তৃণমূল নেতা বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। ভোটের পরই একে একে ফিরে গিয়েছেন মুকুল রায়, সব্যসাচী দত্ত ও রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়রা। পরে বাবুলও দল ছাড়েন। এতে কোনও ফারাক পড়ে না বলে দাবি করলেন দিলীপ ঘোষ। তাঁর কথায়,'বাবুলদা সাংসদ থেকে বিধায়ক হয়ে গেলেন। ফার্স্ট ইলেভন থেকে নার্সারিতে চলে এলেন।'তাঁর সংযোজন,'আমাদের দলে দেশই অগ্রাধিকার। পার্টি দ্বিতীয়। ব্যক্তি তৃতীয়। আমরা বিশ্বাস করি না, আমি বা আমার পরিবারই সব। পার্টি শেষ হয়ে গেলে যাক! ওরা ক্ষমতায় থাকতে চেয়েছিল। ক্ষমতার জন্য এসেছিল। ক্ষমতার জন্য চলে গিয়েছে।'
হারের পর কি পর্যালোচনা হয়েছে? দিলীপের জবাব,'এ নিয়ে পার্টির ভিতরে আলোচনা হয়েছে। এখানে প্রথমবার ক্ষমতায় আসার জন্য লড়াই করছিলাম। দ্রুত আমাদের উত্থান হয়েছে। কীভাবে সরকারে আসব সেই কৌশল জানতাম না। ৭৭ আসন জিতেছি। লক্ষ্য অনেক বড় রেখেছিলাম।'
জেলায় জেলায় বিজেপি কর্মীরা বসে পড়েছেন বলে খবর। তার সত্যতা মেনে নিলেন দিলীপ। তিনি জানান, '১৮ সাংসদ ও ৭৭ বিধায়ক দিয়েছি দলে। এর পিছনে রয়েছেন কর্মীরাই। গণতান্ত্রিক দেশে পুলিশ ও অস্ত্রের ব্যবহার হয়েছে। ৪২ হাজার মামলা ঝুলছে আমাদের কর্মীদের মাথায়। এমন কোনও আদালত নেই যেখানে আমার নামে মামলা হয়নি! সেখানে গিয়ে জামিন নিয়ে আসি। জনসভাও করি। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং প্রধানমন্ত্রী উদ্বিগ্ন।'
মহারাষ্ট্রে আচমকাই উদ্ধব ঠাকরের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেন একনাথ শিন্ডের নেতৃত্বে সিংহভাগ বিধায়ক। ক্ষমতা হারিয়েছেন উদ্ধব। পশ্চিমবঙ্গে তেমনটাই হবে বলে দাবি করেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সেই জল্পনাই উস্কে দিলেন দিলীপ। প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি বলেন,'ওঁর অভিজ্ঞতা আমার চেয়ে বেশি। রাজনীতিতে সব সম্ভব। আজ এখানে কথা বলছি কাল কী হবে জানি না। মহারাষ্ট্রে সরকার বদল হবে কেউ ভাবতে পেরেছিল!'
আরও পড়ুন- আমার কাছে কালী মাংস ও অ্যালকোহল গ্রহণকারী দেবী: মহুয়া