International Kolkata Book Fair: চারদিক থেকে মেট্রো, বইমেলায় মাত্রাতিরিক্ত ভিড় নিয়ে চিন্তায় গিল্ড, কী হবে?

আগামী ২২ জানুয়ারি থেকে শুরু হয়ে ৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলবে আন্তর্জাতিক কলকাতা বইমেলার ৪৯তম সংস্করণ। এবারের স্থান সল্টলেকের সেন্ট্রাল পার্ক, যাকে এখন ‘বইমেলা প্রাঙ্গণ’ নামে ডাকা হচ্ছে। প্রায় ১৫২ একর জুড়ে বিস্তৃত এই মেলাপ্রাঙ্গণ প্রতিদিন প্রায় তিন লক্ষ দর্শনার্থীর ধারণক্ষমতা রাখে। কিন্তু, গিল্ডের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সম্প্রতি চালু হওয়া পূর্ব-পশ্চিম মেট্রোর সুবাদে এবার ভিড় আগের তুলনায় আরও বেশি হতে পারে।

Advertisement
চারদিক থেকে মেট্রো, বইমেলায় মাত্রাতিরিক্ত ভিড় নিয়ে চিন্তায় গিল্ড, কী হবে?কলকাতা বইমেলা ও মেট্রো।-ফাইল ছবির কোলাজ
হাইলাইটস
  • আগামী বছরের আন্তর্জাতিক কলকাতা বইমেলা নিয়ে এবার নতুন আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
  • সল্টলেকের করুণাময়ীতে আয়োজিত এই বইমেলায় পূর্ব-পশ্চিম মেট্রোর পূর্ণাঙ্গ পরিষেবা শুরু হওয়ার ফলে মানুষের সংখ্যা ব্যাপকভাবে বেড়ে যেতে পারে বলে মনে করছে পাবলিশার্স অ্যান্ড বুকসেলার্স গিল্ড।

আগামী বছরের আন্তর্জাতিক কলকাতা বইমেলা নিয়ে এবার নতুন আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। সল্টলেকের করুণাময়ীতে আয়োজিত এই বইমেলায় পূর্ব-পশ্চিম মেট্রোর পূর্ণাঙ্গ পরিষেবা শুরু হওয়ার ফলে মানুষের সংখ্যা ব্যাপকভাবে বেড়ে যেতে পারে বলে মনে করছে পাবলিশার্স অ্যান্ড বুকসেলার্স গিল্ড। এতে একদিকে যেমন বইপ্রেমীদের যাতায়াত সহজ হবে, অন্যদিকে মেলার ভিড় সামলানো এবং জায়গার সঙ্গট দেখা দিতে পারে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন আয়োজকরা।

আগামী ২২ জানুয়ারি থেকে শুরু হয়ে ৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলবে আন্তর্জাতিক কলকাতা বইমেলার ৪৯তম সংস্করণ। এবারের স্থান সল্টলেকের সেন্ট্রাল পার্ক, যাকে এখন ‘বইমেলা প্রাঙ্গণ’ নামে ডাকা হচ্ছে। প্রায় ১৫২ একর জুড়ে বিস্তৃত এই মেলাপ্রাঙ্গণ প্রতিদিন প্রায় তিন লক্ষ দর্শনার্থীর ধারণক্ষমতা রাখে। কিন্তু, গিল্ডের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সম্প্রতি চালু হওয়া পূর্ব-পশ্চিম মেট্রোর সুবাদে এবার ভিড় আগের তুলনায় আরও বেশি হতে পারে।

গত বছরের বইমেলায় ২৭ লক্ষেরও বেশি দর্শক এসেছিলেন এবং মোট ব্যবসা হয়েছিল প্রায় ২৩ কোটি টাকার। এবার মেট্রো সংযোগ আরও সহজ হওয়ায় সেই সংখ্যা রেকর্ড ছাড়াতে পারে বলেই অনুমান। গিল্ডের সাধারণ সম্পাদক ত্রিদিব চট্টোপাধ্যায় বলেন, 'হাওড়া ও সেক্টর ভি-এর মধ্যে সরাসরি যোগাযোগ তৈরি হয়েছে। ফলে জেলা থেকে বা শহরতলি থেকে যারা আসেন, তাঁদের জন্য বইমেলা এখন অনেক বেশি সহজলভ্য। এতে দর্শনার্থীর সংখ্যা অবশ্যই বাড়বে।'

তবে তিনি একইসঙ্গে উদ্বেগও প্রকাশ করেছেন। তাঁর কথায়, 'মেলার ধারণক্ষমতা বাড়ানোর সুযোগ নেই। এত ভিড় সামলানো চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াবে। আমরা চাই মেট্রো কর্তৃপক্ষ বইমেলার দিনগুলিতে ট্রেনের ফ্রিকোয়েন্সি কিছুটা নিয়ন্ত্রণ করুক, যাতে হঠাৎ অতিরিক্ত ভিড় না হয়।'

বর্তমানে পূর্ব-পশ্চিম মেট্রোর সবুজ লাইনে ভিক আওয়ারে ট্রেনের ব্যবধান প্রায় আট মিনিট এবং নন-ভিক আওয়ারে ১০ থেকে ১৫ মিনিট। সপ্তাহান্তে ফ্রিকোয়েন্সি কিছুটা ভিন্ন থাকে। ২২ আগস্ট চালু হওয়া এসপ্ল্যানেড-শিয়ালদহ অংশের ফলে হাওড়া ময়দান থেকে সেক্টর ভি পর্যন্ত সংযোগ সম্পূর্ণ হয়েছে, যা প্রতিদিন প্রায় ২২৬টি পরিষেবা দেয়।

Advertisement

গিল্ডের সভাপতি সুধাংশু শেখর দে জানিয়েছেন, জায়গার সংকটের কারণে নতুন স্টলের জন্য আবেদন নেওয়া কঠিন হয়ে পড়েছে। তাঁর কথায়, 'আমরা নতুন প্রকাশকদের কাছ থেকে আবেদন পাচ্ছি, কিন্তু জায়গা না থাকায় সবাইকে সুযোগ দেওয়া সম্ভব নয়।'

অন্যদিকে, ২০২৬ সালের বইমেলায় প্রথমবারের মতো আর্জেন্টিনা ‘ফোকাল থিম কান্ট্রি’ হিসেবে অংশ নেবে। আর্জেন্টিনার দূতাবাসের রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক বিভাগের প্রধান আন্দ্রেস সেবাস্তিয়ান রোজাস বলেন, 'ভারতে, বিশেষ করে বাংলায় আর্জেন্টিনার ফুটবলের প্রতি ভালোবাসা সুবিদিত। এই বইমেলায় অংশগ্রহণের মাধ্যমে আমরা দুই দেশের সাহিত্য ও সংস্কৃতির বন্ধনকে আরও দৃঢ় করতে চাই।'
 

 

POST A COMMENT
Advertisement