যাদবপুরে ছাত্রমৃত্যু কাণ্ডে নয়া মোড়। এবার উদ্ধার হল চিঠি। আর সেই চিঠি ঘিরেই এনার দানা বাঁধছে রহস্য। কলকাতা পুলিশ ওই ছাত্রের একটি ডায়েরি খুঁজে পেয়েছে। সেই ডায়েরি থেকেই চিঠিটি উদ্ধার হয়েছে বলে খবর। চিঠিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিন অফ স্টুডেন্টসকে উদ্দেশ্য করে লেখা। যদিও সেই চিঠির হাতের লেখা এবং নীচের সইটি মৃত পড়ুয়ার করা কি না, তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে বলে খবর পুলিশ সূত্রে।
সেই চিঠিতে দাবি করা হয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের রাগিং নিয়ে সিনিয়ররা তাঁকে হুমকি দিচ্ছে।
সেখানে রুদ্র নামে একজনের নামও উল্লেখ আছে। ইংরেজিতে লেখা এক পাতার সেই চিঠিতে তারিখ লেখা রয়েছে, ১০ অগাস্ট ২০২৩। অথচ ৯ অগাস্ট রাতে হস্টেলের তিন তলার বারান্দা থেকে পড়ে যান প্রথম বর্ষের ওই পড়ুয়া। এরপর তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। বৃহস্পতিবার হাসপাতালেই মারা যান তিনি। তা হলে চিঠিতে কেন ১০ তারিখের উল্লেখ আছে ? সেই প্রশ্ন ভাবাচ্ছে তদন্তকারীদের।
জানা গেছে, চিঠির মধ্যে বেশ কয়েকটি ডবল রাইটিং আছে। কেন এমন ডবল রাইটিং তা নিয়েও তদন্ত শুরু করেছে কলকাতা পুলিশ।
সূত্রের খবর, চিঠির ওই হাতের লেখা আদৌ মৃত ছাত্রের কিনা তা নিশ্চিত করতে পুলিশ মৃতের হাতের লেখার নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। পুলিশের অনুমান,অন্য কেউ হয়তো চিঠিটি ফ্রেমবন্দি করতে বা অন্য কাউকে বাঁচাতে লিখেছে।
প্রসঙ্গত, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষের ছাত্রের রহস্যমৃত্যুর ঘটনায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে পকসো আইন যুক্ত করেছে কলকাতা পুলিশ। পুলিশ সূত্রের দাবি, প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছিল মৃত ছাত্রের বয়স ১৮ বছর। যদিও পরে খতিয়ে দেখে জানা যায় যে তিনি আগামী ৩১ অক্টোবর ১৮ বছর বয়সী হতেন। আর সেই কারণেই পকসো আইন যুক্ত করেছে পুলিশ।
কলকাতা পুলিশের একজন পদস্থ কর্তা ইন্ডিয়া টুডেকে বলেছেন, 'মৃত ছাত্র নাবালক ছিলেন এবং মেন হস্টেলের বারান্দা থেকে পড়ে যাওয়ার সময় তাঁকে নগ্ন অবস্থায় পাওয়া গিয়েছিল। তাই সেখানে কোনও যৌনতার বিষয় ছিল কি না তা খতিয়ে দেখা দরকার।'