যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রমৃত্যুর ঘটনায় ধৃত সৌরভ চৌধুরীকে আগামী ৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত জেল হেফাজতের নির্দেশ দিল আলিপুর আদালত। তাঁকে জেলে গিয়ে জেরা করতে পারবে পুলিশ। শুক্রবার সৌরভকে আদালতে তোলা হয়। আদালতে সরকারি আইনজীবী গোপাল হালদার বলেন, ‘‘পিক অ্যান্ড চুজ় করে ছাত্রকে মারা হয়েছে।’’ যদিও ওই মন্তব্যের বিরোধিতা করেন সৌরভের আইনজীবী।
এদিকে এদিন, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে (Jadavpur University) র্যাগিংমুক্ত ক্যাম্পাসের দাবিতে পথে নেমেছে বিজেপি (BJP) যুবমোর্চা ও এবিভিপি। মিছিলকে কেন্দ্র করে ধুন্ধুমার বেঁধে যায়। গোলপার্ক থেকে যাদবপুরের ৮বি বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত মিছিল কর্মসূচি ছিল গেরুয়া শিবিরের। কিন্তু শুরু থেকেই বারবার পুলিশি বাধার মুখে পড়ে মিছিল। পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে এবিভিপি সমর্থকরা এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করতেই পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি শুরু হয়। পুলিশ আটকতেই তেড়ে যায় তাঁরা। ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা চরমে ওঠে। যাদবপুর থানার মোড়ে ধুন্ধুমার পরিস্থিতির তৈরি হয়। পুলিশের ব্যারিকেড টপকানোর চেষ্টা করতেই পুলিশ আটকায়। বেশ কয়েকজন এবিভিপি সমর্থককে চ্যাংদোলা করে প্রিজন ভ্যানে তোলে পুলিশ।
উল্লেখ্য, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রমৃত্যুর ঘটনায় ১৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গত বুধবার ক্যাম্পাসে সেনা উর্দিধারী জনা ২০ যুবক-যুবতীকে দেখা গিয়েছিল। তা নিয়ে নতুন করে উত্তেজনা ছড়িয়েছে। কে তাঁদের ক্যাম্পাসে ডেকেছিলেন, কার অনুমতিতে তাঁরা ক্যাম্পাসের মধ্যে ঢুকেছিলেন, সেই নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। পুলিশ স্বতঃপ্রণোদিত মামলা রুজু করেছে এই ঘটনায়। বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার স্নেহমঞ্জু বসু ও ডিন অফ স্টুডেন্টস রজত রায়কে তলব করা হয়েছে।