Jadavpur University: ছাত্র-সংঘর্ষে রণক্ষেত্র যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়, SSKM-এ জখম শিক্ষামন্ত্রী, আহত একাধিক অধ্যাপকও

যাদবপুরে ওয়েবকুপার বৈঠকে গিয়ে আন্দোলনকারী পড়ুয়াদের মুখে পড়লেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। তাঁর ঢোকা-বেরনোর সময় তুমুল ধুন্ধুমার বাঁধায় আন্দোলনকারীরা। ব্রাত্যর গাড়ি এবং দুই পাইলট কারে ভাঙচুর চালানো হয়। খুলে দেওয়া হয় ব্রাত্যর গাড়ির চাকার হাওয়া।

Advertisement
ছাত্র-সংঘর্ষে রণক্ষেত্র যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়, SSKM-এ জখম শিক্ষামন্ত্রী, আহত একাধিক অধ্যাপকওহাসপাতালে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। ছবি: টুইটার

যাদবপুরে ওয়েবকুপার বৈঠকে গিয়ে আন্দোলনকারী পড়ুয়াদের মুখে পড়লেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। তাঁর ঢোকা-বেরনোর সময় তুমুল ধুন্ধুমার বাঁধায় আন্দোলনকারীরা। ব্রাত্যর গাড়ি এবং দুই পাইলট কারে ভাঙচুর চালানো হয়। খুলে দেওয়া হয় ব্রাত্যর গাড়ির চাকার হাওয়া। তাঁর গাড়ির লুকিং গ্লাস ভেঙে দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ। ব্রাত্য বসুর কথায়, তাঁর গাড়ি লক্ষ্য করে ইট ছোড়া হয়। ধাক্কাধাক্কি হেনস্থার মধ্যে পড়েন শিক্ষামন্ত্রী। এরপর প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য ব্রাত্য বসু এসএসকেএম হাসপাতালে ট্রমা কেয়ার সেন্টারে যান। সংবাদমাধ্যমের ছবিতে দেখা যাচ্ছে, তাঁর প্রেশার চেক করছেন স্বাস্থ্যকর্মীরা। 

সূত্রের খবর, এদিন পড়ুয়াদের সঙ্গে ওয়েবকুপার সদস্যদের রীতিমতো হাতাহাতি হয়। ওয়েবকুপা সদস্য তথা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ওমপ্রকাশ মিশ্রকে লাঠি হাতে  ধাওয়া করতে দেখা যায় আন্দোলনকারী পড়ুয়াদের। 

শনিবার যাদবপুরের ওপেন এয়ার থিয়েটারে ওয়েবকুপার বৈঠক ছিল। সেখানে যোগ দেন ব্রাত্য বসু। বৈঠক শুরুর আগে থেকেই উত্তেজনার পরিবেশ তৈরি হয়।

ছাত্র সংসদ ভোটের দাবিতে স্লোগান দিতে থাকেন এসএফআই, আইসা, ডিএসএফ-এর মতো বামপন্থী ছাত্র সংগঠনের সদস্যরা। এদিকে পাল্টা মানববন্ধন করেন তৃণমূল ছাত্র পরিষদের (টিএমসিপি) সদস্যরা। শিক্ষামন্ত্রীকে ৩ নম্বর গেট দিয়ে প্রবেশ করিয়ে ওপেন এয়ার থিয়েটারের পিছন দিয়ে মঞ্চে নিয়ে যাওয়া হয়। ঘটনায় ক্ষুব্ধ ব্রাত্য বসু বলেন, 'এই গুন্ডামি চলতে পারে না। পড়ুয়াদের চারজন প্রতিনিধির সঙ্গে কথা বলতে পারি, কিন্তু সবাই মিলে গুন্ডামি করলে মুশকিল।' তিনি কড়া পদক্ষেপেরও ইঙ্গিত করেন। পাশাপাশি অতিবাম সংগঠন এবং বিজেপির বিরুদ্ধে অশান্তি ছড়ানোর অভিযোগ তোলেন শিক্ষামন্ত্রী। বলেন, 'বিজেপির সঙ্গে মিলে কি আলট্রা লেফটরা ঝামেলা করতে চাইছে? অতিবাম, অতি রামরা সেই কারণেই বললাম।'

এদিন ঘটনার তীব্র নিন্দা করেন কুণাল ঘোষ। তিনি বলেন, ''প্রাণঘাতী হামলার চেষ্টা, গাড়ির কাচটা ভেঙে ওর গায়ে পড়ার সম্ভাবনা ছিল।'

POST A COMMENT
Advertisement