যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র মৃত্যুর ঘটনার পর উপাচার্য হিসেবে বুদ্ধদেব সাউকে নিয়োগ করেছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি বিজেপির সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত। আপনি কি বিজেপির লোক? বাংলা ডট আজতক বাংলার মুখোমুখি হয়ে বুদ্ধদেব সাউ বলেন,'আপনি কি রাজ্য সরকারকে আমার বিরুদ্ধে ক্ষেপাতে চাইছেন না, না পাবলিককে ক্ষেপাতে চাইছেন? আমি অ্যাকাডেমিশিয়ান। যাঁরা বলেছে তাঁরা কি আমি অ্যাকাডেমিক নিয়ে কথা বলেছে!'
বিজেপি যোগের অভিযোগ নিয়ে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউ বলেন,'আমার কি ব্যক্তিগত স্বাধীনতা নেই? আমি কোনও একটা রাজনীতিকে সমর্থন করব। এখান থেকে তো অনেক শিক্ষক আছেন, যাঁরা রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত, ভোটে লড়েছেন। আপনিও ভোট দেন। আপনি তো সাংবাদিক, তাহলে কি পক্ষপাতিত্ব করেন? এখানকার শিক্ষকরা ভোটে দাঁড়িয়েছেন আবার ছাত্রদেরও পড়ান। ছাত্ররাও রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। সেই শিক্ষক যখন পড়ান তখন কোনও ছাত্রকে ভাল চোখে দেন,বাকিদের খারাপ চোখে দেখেন? অন্য মতাদর্শের ছাত্রদের প্রতি কি প্রতিহিংসামূলক আচরণ করেন? আমাকে প্রশ্ন করার আগে তাঁদের প্রশ্ন করেননি কেন?'
বাংলা ডট আজতক ডট ইনে এক্সক্লুসিভ সাক্ষাৎকারে প্রাক্তন উপাচার্য অভিজিৎ চক্রবর্তী বলছিলেন,'ছাত্রছাত্রীদের মগজধোলাই করে অতিবাম ও বাম রাজনীতির দিকে নিয়ে যাওয়া হয়। হত। ' এনিয়ে কী বলবেন উত্তরসূরী? তাঁর কথায়,'উনি কোন সূত্র থেকে কী খবর পেয়েছেন, আমি সেটা জানি না। আমার বিশ্বাস, বাম, অতিবাম, কমবাম, মাঝারি বাম, একটু একটু মাঝারি বাম, ডান, কম ডান, বেশি ডান , এমন কোনও তথ্য আমার কাছে নেই। সবার একটা মত আছে, আমি জানি। কথাটা হচ্ছে, যে যেটা বিশ্বাস করে, সেটা মানুষের স্বা্রর্থে কিনা। সে যদি ডান হোক বা বাম হোক, সেটা মানুষের স্বার্থ বিঘ্নিত করলে খারাপ। মানুষের পক্ষে খারাপ না ভাল সেটা নিয়ে প্রশ্ন করুন।'তাঁর সংযোজন,'মগজধোলাইয়ের কোনও খবর পাইনি। এখানে কোনও যন্তরমন্তর ঘর রয়েছে বলে জানি না।'
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে মুক্তমনা সংস্কৃতিতে কি আঘাত করছেন? বুদ্ধদেব সাউ জানান,'আমি মুক্তমনকে বাধা দিতে যাব কেন? নন-অ্যাকাডেমিককে বাধা দিতে যাব কেন? মুক্তমন হতে হলে সবাইকে ঢুকতে দিতে হবে।' কড়াকড়ি করে আপনি কি টিকতে পারবেন? উপাচার্যের ইঙ্গিতপূর্ণ জবাব,'অ্যাকাডেমিক লোকেরা চাইলে টিকব। নন-অ্যাকাডেমিক পার্সনরা প্রাধান্য় পেলে টিকব না।'