Jadavpur University Ragging Case: যাদবপুরে সেনার পোশাকে ওরা কারা? গ্রেফতারের নির্দেশ সাদিক হোসেনকে

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে আচমকা সেনার পোশাকে একদল তরুণ-তরুণীর প্রবেশ নিয়ে বিতর্ক তুঙ্গে। এবার সেই ঘটনার পেছনে থাকা ব্যাক্তিকে গ্রেফতারের নির্দেশ দিল পুলিশ। জানা গেছে, ‘এশিয়ান হিউম্যান রাইট সোসাইটি’ নামে যে সংস্থার তরফে সেনার যে উর্দিধারীরা ক্যাম্পাসে ঢুকেছিল, সেই সংস্থার কর্ণধার কাজি সাদিক হোসেনকে গ্রেফতারের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

Advertisement
যাদবপুরে সেনার পোশাকে ওরা কারা? গ্রেফতারের নির্দেশ সাদিক হোসেনকেফাইল ছবি।
হাইলাইটস
  • যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে আচমকা সেনার পোশাকে একদল তরুণ-তরুণীর প্রবেশ নিয়ে বিতর্ক তুঙ্গে।
  • এবার সেই ঘটনার পেছনে থাকা ব্যাক্তিকে গ্রেফতারের নির্দেশ দিল পুলিশ।

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে আচমকা সেনার পোশাকে একদল তরুণ-তরুণীর প্রবেশ নিয়ে বিতর্ক তুঙ্গে। এবার সেই ঘটনার পেছনে থাকা ব্যাক্তিকে গ্রেফতারের নির্দেশ দিল পুলিশ। জানা গেছে, ‘এশিয়ান হিউম্যান রাইট সোসাইটি’ নামে যে সংস্থার তরফে সেনার যে উর্দিধারীরা ক্যাম্পাসে ঢুকেছিল, সেই সংস্থার কর্ণধার কাজি সাদিক হোসেনকে গ্রেফতারের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে তদন্তে অসহযোগিতার অভিযোগও উঠেছে।  হোসেনকে শুক্রবার যাদবপুর থানায় তলব করা হয়। কিন্তু ২ দিন পরও তিনি থানায় হাজিরা না দেওয়ায় এবার গ্রেফতারের নির্দেশ দেওয়া হল।

গত বুধবার সেনার পোশাকে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে ঢুকে পড়েছিল একদল যুবক-যুবতী। তাঁরা নিজেদের একবার রাষ্ট্র সংঘের (UN) বিশ্ব শান্তিরক্ষা বাহিনীর স্বেচ্ছাসেবী, একবার প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের নিয়ন্ত্রণাধীন বাহিনী বলে দাবি করে। বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে ঢুকে যাদবপুরের র‌্যাগিং সংস্কৃতি শেষ করতে চায় বলেও দাবি করে তারা। পরে জানা যায়, প্রতিরক্ষা মন্ত্রক বা বিশ্ব শান্তিরক্ষা বাহিনী দূর অস্ত, দক্ষিণ ২৪ পরগনার এক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সদস্য তারা। এরপরই প্রশ্ন ওঠে, সেনাবাহিনীর সঙ্গে যুক্ত না থাকা সত্ত্বেও কীভাবে সেনার পোশাক, ‘ভারতীয় সেনা’ লেখা টুপি এল তাদের কাছে? কীভাবেই বা ক্যাম্পাসে ঢুকল? তা নিয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

ওই উর্দিধারীদের কারও কাধে WHRPF লেখা ইনসিগনিয়া দেখে প্রশ্ন করলে কারা তাদের স্বীকৃতি কারা দিয়েছেন তার জবাব দিতে পারেননি তারা। পাশাপাশি কেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর পোশাক তারা এই ভাবে ব্যবহার করছেন, সেই প্রশ্নেরও কোন উত্তর দিতে পারেননি তারা। এরপরই তারা জানায়, চম্পাহাটির একটি NGO তে কাজ করেন তারা। এটি সেই NGO তরফেই করা হয়েছে। তাদের এই সংগঠনের তরফে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে ৩ মাসের ট্রেনিংয়ের পর তাদের পুলিশের চাকরি দেওয়া হবে। তাই তারা চাকরির আশায় সেখানে এসেছেন। ক্যাম্পাসের ছাত্রছাত্রীরা ঘিরে ধরতেই NGO-র সদস্যরা চম্পট দেয়।


 

POST A COMMENT
Advertisement