Jadavpur University Student Death: যাদবপুর ক্যাম্পাসে ছাত্রী মৃত্যু: 'এটা প্লেন মার্ডার,' মামলা দায়ের করলেন বাবা

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীর রহস্যমৃত্যুর ঘটনায় এবার থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করলেন মৃতার বাবা-মা। সোমবার যাদবপুর থানায় তাঁরা খুনের লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। কী বক্তব্য মেয়েটির বাবার?

Advertisement
 যাদবপুর ক্যাম্পাসে ছাত্রী মৃত্যু: 'এটা প্লেন মার্ডার,' মামলা দায়ের করলেন বাবাযাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের এই ঝিলেই পড়ে যান মেয়েটি
হাইলাইটস
  • যাদবপুরের ছাত্রীর রহস্যমৃত্যুতে এবার খুনের মামলা
  • সোমবার বাবার লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে খুনের মামলা রুজু
  • বাবার দাবি, এটি স্বাভাবিক মৃত্যু নয়

যাদবপুরের ছাত্রীর রহস্যমৃত্যুর ঘটনায় নয় মোড়। এবার ছাত্রীর পরিবারের তরফ থেকে খুনের মামলা রুজু করা হল। লালবাজারে গিয়ে সোমবার পুলিশ কর্তাদের সঙ্গে কথা বলেন মৃতার বাবা-মা। পরিবারের তরফে অভিযোগ, নিছক দুর্ঘটনা হিসেবে মনে করছেন না তাঁরা। এরপরই এদিন যাদবপুর থানায় হাজির হন বাবা-মা। সেখানেই তাঁদের অভিযোগের ভিত্তিতে খুনের মামলা রুজু করেছে পুলিশ। 

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসের জলাশয় থেকে বিশ্ববিদ্যালয়েরই ইংরেজি বিভাগের তৃতীয় বিভাগের ছাত্রীর অচৈতন্য দেহ উদ্ধার হয়। এরপর তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়, সেখানে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। প্রাথমিক ময়নাতদন্ত রিপোর্টে জানা গিয়েছে, মেয়েটির শরীরের বাইরে কোনও আঘাত ছিল না। জলে ডুবে গিয়েই তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে উল্লেখ ছিল রিপোর্টে। সহপাঠীদের তরফে জানা গিয়েছিল, মেয়েটি ইউনিয়ন রুম লাগোয়া শৌচালয়ে গিয়েছিলেন। সে সময়েই পড়ে যান জলাশয়ে। অনুমান করা হচ্ছে, আকণ্ঠ মদ্যপান করে থাকায় পা পিছলে গিয়ে থাকতে পারে মেয়েটির। তবে তিনি আদৌ নেশাগ্রস্ত ছিলেন কি না, তা খতিয়ে দেখতে ভিসেরা পরীক্ষা করা হচ্ছে। 

এদিকে, মেয়েটির বাবার দাবি, স্বাভাবিক মৃত্যু নয়। খুন করা হয়েছে মেয়েকে। বাবার বক্তব্য, 'এটি স্বাভাবিক মৃত্যু হতে পারে না। প্লেন মার্ডার করা হয়েছে। যে মেয়ে অন্ধকারকে ভয় পায়, যে একটা পোকা দেখলে ঘরের মধ্যে লাফালাফি করত, সে একা একা অন্ধকারে ওখানে যেতে পারে না। ওঁর ফোনের কল লিস্ট খতিয়ে দেখলে হয়তো পাওয়া যাবে কার কার সঙ্গে কথা বলেছিল।'

এদিকে, যাদবপুর থানার তরফে ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় মেয়েটির ৩ বন্ধুকে তলব করা হয়েছে। সেই রাতে ওই ৩ জন মেয়েটির সঙ্গেই ছিলেন এবং ঠিক কী কী ঘটেছিল পরপর, তা জানার চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা। 

এদিকে, ডিন এবং বিভাগীয় প্রধানদের মধ্যে সোমবার একটি বৈঠক বসেছে। গোটা ঘটনা নিয়ে সেখানে আলোচনা করা হচ্ছে। 


 

Advertisement

POST A COMMENT
Advertisement