scorecardresearch
 

ভাড়া ২৫ টাকা, চাকরি পেয়েও হস্টেলেই থাকতেন প্রাক্তনীরা, সব জানত কর্তৃপক্ষ?

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের হস্টেলের ভাড়া মাসে মাত্র ২৫ টাকা। খাওয়ার জন্য মেসের খরচ আড়াই-তিন হাজার। এই বাজারে কলকাতায় থাকা-খাওয়ার খরচ হিসেবে একদমই কম। কিন্তু এই বিশ্ববিদ্যালয়ে রাজ্য- এবং দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পড়ুয়ারা আসেন। বহু এমন পড়ুয়া আসেন, যাদের পরিবারের অবস্থা ভালো না। খুব বেশি খরচ হলে, তাঁদের পরিবার টানতে পারবে না। কিন্তু অভাব যেন মেধাবীদের স্বপ্নপূরণের বাধা না হয়, সেজন্যই কম খরচে থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে দেশের অন্যতম শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে।

Advertisement
ফাইল ছবি। ফাইল ছবি।
হাইলাইটস
  • যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের হস্টেলের ভাড়া মাসে মাত্র ২৫ টাকা।
  • খাওয়ার জন্য মেসের খরচ আড়াই-তিন হাজার।
  • এই বাজারে কলকাতায় থাকা-খাওয়ার খরচ হিসেবে একদমই কম।

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের হস্টেলের ভাড়া মাসে মাত্র ২৫ টাকা। খাওয়ার জন্য মেসের খরচ আড়াই-তিন হাজার। এই বাজারে কলকাতায় থাকা-খাওয়ার খরচ হিসেবে একদমই কম। কিন্তু এই বিশ্ববিদ্যালয়ে রাজ্য- এবং দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পড়ুয়ারা আসেন। বহু এমন পড়ুয়া আসেন, যাদের পরিবারের অবস্থা ভালো না। খুব বেশি খরচ হলে, তাঁদের পরিবার টানতে পারবে না। কিন্তু অভাব যেন মেধাবীদের স্বপ্নপূরণের বাধা না হয়, সেজন্যই কম খরচে থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে দেশের অন্যতম শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে যার অপব্যবহার হত বলে অভিযোগ করছেন পড়ুয়াদের পাশাপাশি শিক্ষক-অধ্যাপকরাই। 

কিছুদিন আগেই এক মেধাবী ছাত্রের মৃত্যু হয়েছে যাদবপুরে। যা নিয়ে রাজ্য তোলপাড়। অভিযোগ, র্যাগিং করে ওই ছাত্রকে ছাদ থেকে ফেলা হয়েছে। পুলিশ ঘটনায় অভিযুক্ত সন্দেহে ১২ জনকে গ্রেফতার করেছে। যারমধ্যে রয়েছে প্রাক্তন পড়ুয়াও। অভিযোগ উঠছে, প্রাক্তনরাই দিনের পর দিন র্যাগিং করত নবাগতদের। পড়া শেষ হয়ে যাওয়ার পরও যারা হস্টেল ছাড়ত না।'
ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রধান অধ্যাপক শাশ্বতী মজুমদার বললেন, 'এই বিষয়টি নতুন কিছু নয়। আমি জানতে পেরে অবাক হয়েছিলাম। এমনকি অনেকে চাকরি পাওয়ার পরও বছরের পর বছর হস্টেলে থেকে যেত। আমি একটি বৈঠকে বিষয়টি নিয়ে আপত্তি জানিয়েছিলাম। কিন্তু আমার আপত্তিতে কোনও কান দেওয়া হয়নি। যদি আমার কথা সেদিন শোনা হত, তাহলে আজ হয়ত এই দিন দেখতে হত না।'

তিনি আরও বলেন, 'অন্য পড়ুয়াদের কাছে শুনেছি। শুধু প্রথমবর্ষের পড়ুয়ারাই নয়। র্যাগিং করা হত দ্বিতীয়বর্ষের পড়ুয়াদেরও, এমন অভিযোগও শুনছিলাম। কিন্তু সেই ছাত্রদের কিছু করার ছিল না। কারণ র্যাগিং নিয়ে ফার্স্ট ইয়ারের পড়ুয়ারা অভিযোগ জানানোর সুযোগ যতটা পায়, ততটা সুযোগ সেকেন্ড ইয়ারের পড়ুয়ারা পায় না। তাই তাদের মুখ বুজে সহ্য করা ছাড়া উপায় থাকে না। সব জায়গায় সিসি ক্যামেরা আমরা বরাবরই চেয়েছি। পড়ুয়ারাও তাই চায়।'

আরও পড়ুন

Advertisement

ইতিমধ্যেই ক্যাম্পাসের বিভিন্ন জায়গায় সিসি ক্যামেরা লাগানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। বিশেষকরে হস্টেলের গেটে সিসি ক্যামেরা ও নিরাপত্তারক্ষী হিসেবে অবসরপ্রাপ্ত সেনাকর্মী নিয়োগের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। বিষয়টিতে প্রচুর টাকার দরকার। ওই পরিমাণ টাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তহবিলে নেই বলে সূত্রে জানা যাচ্ছে। তাই আর্থিক সাহায্য চেয়ে রাজ্যের কাছে চিঠি পাঠাবে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। 


 

Advertisement