Jamiat E Ulama Hind Rally In Kolkata: 'বাংলায় আসলেই যোগীকে...', কলকাতায় মিছিল করে জ্ঞানবাপীতে পুজোপাঠ বন্ধের দাবি সিদ্দিকুল্লার

এ রাজ্যে জমিয়তে উলামায়ে হিন্দের সভাপতি তথা রাজ্যের গ্রন্থাগার মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরীর নেতৃত্বে এ দিন প্রতিবাদ মিছিল হয় শহরে। সিদ্দিকুল্লা বলেন,'জ্ঞানবাপী মন্দিরে পুজোপাঠ শুরু করেছে ওরা। কোনও বুদ্ধি নেই।'

Advertisement
'বাংলায় আসলেই যোগীকে...', কলকাতায় মিছিল করে জ্ঞানবাপীতে পুজোপাঠ বন্ধের দাবি সিদ্দিকুল্লারSiddiqullah Chowdhury
হাইলাইটস
  • জ্ঞানবাপীতে পুজো বন্ধের দাবিতে কলকাতায় মিছিল।
  • মিছিলের নেতৃত্বে রাজ্যের মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী।

বারাণসীর জ্ঞানবাপী মন্দিরে পুজোয় নিষেধাজ্ঞায় চেয়ে কলকাতার রাস্তায় মিছিল করল জমিয়তে উলামায়ে হিন্দ। তাদের দাবি, অবিলম্বে জ্ঞানবাপীতে সব ধরনের পুজোপাঠ বন্ধ করতে হবে। এমনকি এএসআই রিপোর্ট মানতেও অস্বীকার করেছেন সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী।  

এ রাজ্যে জমিয়তে উলামায়ে হিন্দের সভাপতি তথা রাজ্যের গ্রন্থাগার মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরীর নেতৃত্বে এ দিন প্রতিবাদ মিছিল হয় শহরে। সিদ্দিকুল্লা বলেন,'জ্ঞানবাপী মন্দিরে পুজোপাঠ শুরু করেছে ওরা। কোনও বুদ্ধি নেই। কলকাতায় উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী আসলে ঘেরাও করব। বেরোতে দেব না। জ্ঞানবাপী মসজিদ খালি করুন। আমরা শিরকের বিরুদ্ধে। কোনও মন্দিরে যাই না। আপনারা আজ ক্ষমতায় আছেন বলে মসজিদ ভেঙে পুজোপাঠ করবেন? এটা ভারতের সংবিধান বিরোধী। জ্ঞানবাপী মসজিদে পুজোপাঠ বন্ধ করে মুসলিমদের ফেরত দিন।' 

ভারতের পুরাতত্ত্ব সর্বেক্ষণ বিভাগের রিপোর্ট নিয়ে সিদ্দিকুল্লার মন্তব্য,'কারা কী রিপোর্ট দিয়েছে সেটা তাদের মর্জি। মসজিদকে মন্দির বানাবেন, আর আমরা চুরি পরে বসে থাকব? এটা হতে পারে না।'

গত ৩১ জানুয়ারি জেলা বারাণসী আদালতের বিচারক অজয়কুমার বিশ্বেস জ্ঞানবাপীর সিল করা তহখানায় পুজোর অনুমতি দিয়েছিলেন। তার পর থেকে দৈনিক পাঁচ দফায় পুজো শুরু হয়েছে ব্যাস কা তহখানায়। নিম্ন আদালতের নির্দেশে স্থগিতাদেশ চেয়ে এলাহাবাদ হাই কোর্ট আবেদন করে মসজিদ কমিটি। গত ২ ফেব্রুয়ারি তা খারিজ হয়। তারপর সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় তারা।

তার আগে জ্ঞানবাপী মসজিদের কাঠামোর নীচে হিন্দু মন্দিরের অস্তিত্ব রয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে ভারতীয় পুরতত্ত্ব সর্বেক্ষণের (এএসআই) রিপোর্টে। গত ২৫ জানুয়ারি বারাণসী জেলা আদালতে জমা দেওয়া রিপোর্টে তারা জানিয়েছে, জ্ঞানবাপী চত্বরে উদ্ধার করা হয়েছে একটি লিপি। তাতে লেখা আছে, ১৬৬৯ সালে ২ নভেম্বর জ্ঞানবাপীতে মন্দির ভেঙে মসজিদ নির্মাণের ফরমান দিয়েছিলেন ঔরঙ্গজেব। মন্দিরের স্তম্ভ এবং অন্যান্য অংশের উপর তৈরি হয়েছিল মসজিদ। ওই রিপোর্টের ভিত্তিতেই জ্ঞানবাপীতে পুজোপাঠ ও আরতির অনুমতি দেয় বারাণসী জেলা আদালত।

Advertisement

POST A COMMENT
Advertisement