Jawhar Sircar: RG Kar-কাণ্ডের এক মাস পরে কেন 'বোধোদয়' জহর সরকারের? যা বললেন

আরজি কর-কাণ্ডে দলের উপরতলার নেতৃত্বকে সঠিক দিশা দেখানি কেন? জহরের জবাব,'শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেছিলাম। তবে সেই চেষ্টা বিফল হয়েছে। এই ঘটনা বাংলার গণতান্ত্রিক শক্তিকে ধাক্কা দিয়েছে'।

Advertisement
 RG Kar-কাণ্ডের এক মাস পরে কেন 'বোধোদয়' জহর সরকারের? যা বললেনজহর সরকার
হাইলাইটস
  • আরজি কর-কাণ্ডে উত্তাল গোটা বাংলা।
  • প্রতিবাদে রাজ্যসভার তৃণমূল সাংসদের পদ ছেড়েছেন জহর সরকার।

আরজি কর-কাণ্ডে রাজ্য সরকারের ভূমিকায় 'হতাশ' জহর সরকার। প্রতিবাদে রাজ্যসভার তৃণমূল সাংসদের পদ ছেড়েছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠিও দিয়েছেন। ফোনে জহর সরকার জানালেন, মুখ্যমন্ত্রী চিঠি দেওয়ার পর তাঁর সঙ্গে কথা হয়েছে। 

আরজি কর-কাণ্ডে উত্তাল গোটা বাংলা। সুবিচারের দাবিতে পথে নামছেন সাধারণ মানুষ। সেই সময় আচমকাই রাজ্যসভার সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার কথা ঘোষণা করলেন জহর সরকার। তৃণমূল সরকারের ভূমিকায় তিনি যে ক্ষুব্ধ তা মমতাকে লেখা চিঠিতে বুঝিয়ে দিয়েছেন। কিন্তু এতদিন পরে কেন বোধোদয়? জহর সরকার বলেন,'দলের সুশৃঙ্খল সাংসদ হিসেবে আমি এক মাস ধরে পরিস্থিতির উপর নজর রাখছিলাম। দেখলাম, পরিস্থিতি সামলাতে একাধিক ভুল করা হয়েছে। তার জেরে পরিস্থিতি জটিল হয়ে উঠেছে'।

আরজি কর-কাণ্ডে দলের উপরতলার নেতৃত্বকে সঠিক দিশা দেখানি কেন? জহরের জবাব,'শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেছিলাম। তবে সেই চেষ্টা বিফল হয়েছে। এই ঘটনা বাংলার গণতান্ত্রিক শক্তিকে ধাক্কা দিয়েছে। নিজেদের না শুধরোলে সাম্প্রদায়িক দল ক্ষমতায় আসতে পারে'। তিনি আরও বলেন,'আমি রাজ্যসভার সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দিচ্ছি। তবে নিজের আদর্শ ছাড়তে পারব না। রাস্তায় যে আন্দোলন হচ্ছে, সেটাকে রাজনৈতিক বলে দাগিয়ে দিলে চলবে না। আমি দেখেছি, এই আন্দোলন স্বতঃস্ফূর্ত। সাধারণ মানুষের রাগের প্রতিফলন। কয়েকটি রাজনৈতিক দল ঘোলা জলে মাছ ধরার চেষ্টা করছে। কিন্তু তা বলে আন্দোলন রাজনৈতিক এটা বলা যাবে না'।          

মমতাকে দেওয়া চিঠিতে দুর্নীতির কথাও লিখেছেন জহর। সেই কথাও শোনা গেল তাঁর মুখে। তিনি বলেন,'বাংলায় দুর্নীতির যে রোগ ছড়িয়েছে তা কোনওমতে গ্রহণযোগ্য নয়। বাংলার মানুষ এটা হজম করতে পারছেন না। চিঠি লেখার পর মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা হয়েছে জহর সরকারের। তবে সে কথা তিনি জনসমক্ষে বলতে নারাজ। 

POST A COMMENT
Advertisement