কালীঘাট মন্দিরের আশেপাশের যানজট কমানোর জন্য প্রায় ৫০০ মিটার দীর্ঘ এবং সাড়ে ১০ মিটার চওড়া স্কাইওয়াকের কাজ শেষ। কলকাতা পুরসভার তরফে জানানো হয়েছে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই স্কাইওয়াকের উদ্বোধন করবেন।
নির্মাণের চ্যালেঞ্জ এবং বিলম্ব
ঘিঞ্জি এলাকায় নির্মাণ কাজ করতে গিয়ে একাধিক সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়েছে। স্কাইওয়াকের স্তম্ভ নির্মাণের সময় বহু পুরনো নিকাশি নালা এবং জলের পাইপ ফেটে গিয়েছিল। কলকাতা পুরসভাকে পুনরায় নিকাশির অভিমুখ পরিবর্তন করে নতুন নালা তৈরি করতে হয়েছে। এসব চ্যালেঞ্জের কারণে প্রকল্পটি নির্ধারিত সময়ের চেয়ে অনেক দেরিতে হয়েছে।
স্কাইওয়াকের অবকাঠামো
স্কাইওয়াকটি কালীঘাট মন্দির থেকে শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জি রোড এবং গুরুপদ হালদার রোড পর্যন্ত প্রসারিত। পুণ্যার্থীদের সুবিধার্থে স্কাইওয়াকের দুই প্রান্তে লিফট বসানোর কাজও শেষ হয়েছে। সন্ধ্যার পর স্কাইওয়াকের প্রবেশপথে নীল-সাদা আলো জ্বলবে এবং মন্দিরের প্রতিকৃতি ফুটিয়ে তোলা হবে।
উদ্বোধন কবে?
যে বেসরকারি সংস্থা স্কাইওয়াকটি তৈরি করেছে, তাঁর প্রজেক্ট ম্যানেজার বিশ্বজিৎ মাইতি বললেন, 'ফেব্রুয়ারির ১২ তারিখ উদ্বোধন হওয়ার কথা কালীঘাট স্কাইওয়াক। উদ্বোধন করার কথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। বড় কোনও পরিবর্তন না হলে ওইদিনই খুলে দেওয়া হবে স্কাইওয়াক।'
হকারদের পুনর্বাসন
স্কাইওয়াক নির্মাণের সময় সরিয়ে দেওয়া হকারদের জন্য শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত হকার্স কর্নার তৈরি করা হয়েছে। শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জি রোডের পাশে এই নতুন মার্কেটে ১৭৬টি দোকান তৈরি করা হয়েছে। দোকানদারদের দাবি অনুযায়ী অতিরিক্ত দরজা তৈরির পরিকল্পনা রয়েছে।
যতীন দাস পার্কে থাকা অস্থায়ী হকারদের জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে নতুন হকার্স কর্নারে স্থানান্তর করা হবে। এরপর যতীন দাস পার্কে থাকা দোকানগুলি ভেঙে পার্কটি পুনরুদ্ধার করা হবে।
স্কাইওয়াকের সম্ভাব্য প্রভাব
স্কাইওয়াক চালু হলে মন্দির চত্বরের যানজট কমবে। পুণ্যার্থীরা স্কাইওয়াকের মাধ্যমে সরাসরি মন্দিরে পৌঁছাতে পারবেন। অন্যদিকে, নতুন হকার্স কর্নার হকারদের ব্যবসার উন্নতি ঘটাবে।