Kolkata Firecrackers Market: কালীপুজোর আগে কবে শুরু বাজি বাজার? কলকাতায় কোথায় কোথায় মিলবে গ্রিন বাজি?

আর মাত্র হাতে কয়েকটা দিন বাকি। কালীপুজোয় ফাটানোর জন্য বাজি কেনার পরিকল্পনা শুরু হয়ে গিয়েছে ইতিমধ্যেই। কিন্তু জানেন কি কলকাতায় বাজির বাজার বসছে কবে? কোন কোন এলাকায় মিলবে গ্রিন পরিবেশবান্ধব বাজি?

Advertisement
 কালীপুজোর আগে কবে শুরু বাজি বাজার? কলকাতায় কোথায় কোথায় মিলবে গ্রিন বাজি? কলকাতা বাজি বাজার
হাইলাইটস
  • কালীপুজোর বাজি বাজার কবে থেকে শুরু হচ্ছে?
  • কোন কোন এলাকায় বসবে বাজির বাজার?
  • জেনে নিন গ্রিন বাজি কেনার ঠিকানা

আলোর উৎসব কালিপুজোয় শব্দবাজির তাণ্ডব নিয়ে প্রতিবছরই সতর্ক করা হয় সাধারণ মানুষকে। পরিবেশবান্ধব বাজি বিকিকিনির উপর জোর দেওয়া হয়। কেনাবেচা নিষিদ্ধ থাকে কান ফাটানো শব্দবাজি। আর প্রতিবারের মতো এবারও শহরে বসতে চলেছে সেই পরিবেশবান্ধব বা গ্রিন বাজির পসরা। দীপাবলির আগে শহরের বিভিন্ন প্রান্তের বাজির বাজার বসে। এ বছর ২০ অক্টোবর পালিত হবে কালীপুজো। তার আগে ১৪ অক্টোবর, মঙ্গলবার থেকেই বসবে বাজির বাজার। চলবে ২০ অক্টোবর পর্যন্ত। 

কলকাতা পুলিশের এলাকায় মোট ৪টি বাজির বাজার বসতে চলেছে। শহিদ মিনার সংলগ্ন ময়দান মাঠে, উত্তর কলকাতায় টালায়, দক্ষিণ কলকাতার বেহালা এবং ইএম বাউপাস লাগোয়া কালিকাপুর মাঠে বসবে বাজারগুলি। তবে সেখানে বিক্রি করা যাবে না কোনওরকম শব্দবাজি। থাকবে কেবল গ্রিন বাজির পসরা। প্রশাসনের পক্ষ থেকে সতর্কবার্তা জারি করা হয়েছে বিক্রেতাদের জন্য। এই মর্মে গত ৬ অক্টোবর বাজি ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠকও করেছে লালবাজার। 

ময়দানের বাজি বাজারে এ বছর থাকছে ৫০টি দোকান। টালার বাজি বাজারে থাকছে ৪৪টি দোকান। গ্রিন বাজিই কেবলমাত্র বিক্রি করার নির্দেশ রয়েছে। তবে কোনটি আসল গ্রিন বাজি তা সাধারণ ক্রেতাদের পক্ষে চেনার উপায় কী? এই নিয়ে বিভ্রান্তি রয়েছে। তবে এ বছর গ্রিন বাজিতে কিউ আর কোড থাকার কথা বিষয়টি নিয়েও বিতর্ক রয়েছে। অনেক বাজি ব্যবসায়ী মনে করছেন, কিউআর কোড কখনওই বাধ্যতামূলক হতে পারে না। যদিও জানা গিয়েছে, প্রত্যেক দোকানেই সরকারি সংস্থা নিরি অনুমোদিত প্রস্তুতকারকদের তালিকা থাকবে। সেই প্রস্তুতকারকদের তৈরি বাজিই বৈধ। পুরোনো বক্স ছাপানো থাকলে সেখানে অবশ্য কিউআরকোড থাকবে। আবার অনেকের প্রশ্ন, প্রস্তুতকারকদের নামের তালিকা থাকলে তো যে কেউ বাজির প্যাকেটে সেই সংস্থার নাম বসিয়ে নিতে পারেন। সেক্ষেত্রে তো নকল হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। 

এদিকে, বিক্রেতাদের জন্যে কঠোর নিরাপত্তামূলক নির্দেশও জারি করা হয়েছে। বাজি বাজারে প্রত্যেক স্টলে থাকতে হবে অন্তত একটি অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র, দু’টি জলভর্তি বালতি ও পর্যাপ্ত বালিভর্তি বালতি। দোকানের শেড তৈরি করতে হবে অগ্নিনিরোধক উপকরণে, দু’টি দোকানের দূরত্ব হতে হবে কমপক্ষে তিন মিটার। বিপজ্জনক ভাবে মুখোমুখি কোনও স্টল দেওয়া যাবে না। প্রত্যেক বিক্রেতাকে দমকল, সিইএসসি, বিদ্যুৎ দপ্তর ও ভূমি দপ্তরের অনুমতিপত্র আগে থেকেই জমা দিতে হবে। পুলিশ ও দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের যৌথ দল নিয়মিত পরিদর্শন করবে। 

Advertisement

 

POST A COMMENT
Advertisement