Kasba Incident: কসবায় কলেজে ছাত্রীকে 'গণধর্ষণ', শুভেন্দুর কটাক্ষ, 'পুরো কলকাতা পুলিশই দিঘায়'

বিরোধী দল বিজেপি এই ঘটনার প্রতিবাদে যে আন্দোলনে নামবে তা একপ্রকার পরিষ্কার করে দিয়েছেন বিরোধী দলনেতা। পাল্টা বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলির অবস্থা তুলে ধরে আক্রমণ শানিয়েছে তৃণমূলও।

Advertisement
কসবায় কলেজে ছাত্রীকে 'গণধর্ষণ', শুভেন্দুর কটাক্ষ, 'পুরো কলকাতা পুলিশই দিঘায়'কসবায় কলেজে ছাত্রীকে 'গণধর্ষণ', শুভেন্দুর কটাক্ষ, 'পুরো কলকাতা পুলিশই দিঘায়'
হাইলাইটস
  • ২৫ জুন সন্ধ্যায় এক ছাত্রীকে গণধর্ষণ করা হয়েছে
  • রাত সাড়ে ৭টা থেকে রাত ৮টা ৫০-এর মধ্যে কলেজ চত্বরে ঘটনাটি ঘটে বলে জানিয়েছেন নির্যাতিতা

কসবা ল কলেজে গণধর্ষণের অভিযোগ আসতেই মুখ্য়মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদত্যাগ দাবি করলেন বিরোধী দলনেতা ও বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ারে থাকার যোগ্যতা নেই। বিরোধী দল বিজেপি এই ঘটনার প্রতিবাদে যে আন্দোলনে নামবে তা একপ্রকার পরিষ্কার করে দিয়েছেন বিরোধী দলনেতা। পাল্টা বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলির অবস্থা তুলে ধরে আক্রমণ শানিয়েছে তৃণমূলও।

আরজি কর কাণ্ডের ঘা এখনও শুকিয়ে যায়নি। তারই মধ্যে খাস কলকাতায় আবারও গণধর্ষণের অভিযোগ ওঠায় নারী নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। অভিযোগ, কসবার ল কলেজের মধ্যে গার্ডরুমে ছাত্রীকে গণধর্ষণ করা হয়। বুধবার, ২৫ জুন সন্ধ্যায় এক ছাত্রীকে গণধর্ষণ করা হয়েছে। রাত সাড়ে ৭টা থেকে রাত ৮টা ৫০-এর মধ্যে কলেজ চত্বরে ঘটনাটি ঘটে বলে জানিয়েছেন নির্যাতিতা। ঘটনার পরপরই কসবা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন তরুণী। অভিযোগ পেয়ে তৎপর হয় পুলিশ। নির্যাতিতার শারীরিক পরীক্ষা করানো হয় পার্ক সার্কাসের কলকাতা ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজে। এরপর মাজরাতে কসবার তালবাগান ক্রসিং এলাকা থেকে ২ জনকে গ্রেফতার করা হয়। এই ধৃতরা ওই ল কলেজেরই ছাত্র বলে জানা গিয়েছে।

পুলিশি জেরায় উঠে আসে মূল অভিযুক্তের নাম। পরে তাঁকেও গ্রেফতার করে পুলিশ। জানা গিয়েছে, তৃতীয় অভিযুক্ত ওই কলেজের প্রাক্তন ছাত্র। বর্তমানে একজন আইনজীবী। অভিযুক্তের বাড়ি থেকেই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। ইতিমধ্যেই অভিযোগের তদন্তে নেমেছে পুলিশ। ফরেন্সিক দল কলেজে যাচ্ছে নমুনা সংগ্রহের জন্য।

এদিকে, এই ঘটনা নিয়ে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, 'মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ারে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের থাকার যোগ্যতা নেই। আমরা ইস্যু চেক আপ করছি। এই ইস্যু অনেক বড় হবে। গোটা কলকাতা পুলিশকে দিঘায় নিয়ে চলে গিয়েছে। এবার উনি বলবেন ছোট ঘটনা, লাভ অ্যাফেয়ার ছিল। বলবেন অভিযোগকারী গর্ভবর্তী, তারপর বলবেন ১০ লক্ষ তো দেওয়া যেতেই পারে।' 

পাল্টা তৃণমূল নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার বলেন, 'শুভেন্দু অধিকারীর মন্তব্য ধর্ষণকারীদেরই উৎসাহিত করছে। এসব ঘটনা রুখতে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। রাজনীতিকরণ করলে হবে না। বিজেপি শাসিত রাজ্যেও হয়। বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিতেও নারী নির্যাতনের সবচেয়ে বেশি অভিযোগ।'

Advertisement

POST A COMMENT
Advertisement