Kasba Case: মনোজিৎ-ত্রাস, পুলিশকে চিঠিতে অধ্যক্ষ লিখেছিলেন,'কলেজের অনুষ্ঠানে প্রোটেকশন দিন'

কসবা ল'কলেজে এর আগে মনোজিতের কুকীর্তির ভয়ে লালবাজারে চিঠি লিখেছিলেন তৎকালীন উপাচার্য দেবাশিস চট্টোপাধ্যায়। মনোজিতের 'খারাপ আচরণ' সম্পর্কে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন কলকাতা পুলিশের কাছে। পুলিশ প্রোটেকশন চেয়েছিলেন উপাচার্য।

Advertisement
মনোজিৎ-ত্রাস, পুলিশকে চিঠিতে অধ্যক্ষ লিখেছিলেন,'কলেজের অনুষ্ঠানে প্রোটেকশন দিন'মনোজিৎ মিশ্র
হাইলাইটস
  • মনোজিতের কুকীর্তির ভয়ে লালবাজারে চিঠি লিখেছিলেন তৎকালীন উপাচার্য দেবাশিস চট্টোপাধ্যায়
  • উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন কলকাতা পুলিশের কাছে
  • পুলিশ প্রোটেকশন চেয়েছিলেন উপাচার্য

সাউথ ক্যালকাটা ল'কলেজ গণধর্ষণের ঘটনায় মুখ্য অভিযুক্ত মনোজিৎ মিশ্র সম্পর্কে আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ্যে। ২০১৮ সালে কলেজের তৎকালীন উপাচার্য দেবাশিস চট্টোপাধ্যায় লালবাজারকে একটি চিঠি দিয়েছিলেন। যেখানে তিনি মনোজিতের 'খারাপ আচরণ' সম্পর্কে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন। কলেজ কর্তৃপক্ষ মনোজিতের দাপট এবং তার কীর্তি নিয়ে এতটাই দুঃশ্চিন্তায় ছিল, বাধ্য হয়েই পুলিশ প্রোটেকশন চেয়েছিলেন উপাচার্য। 

কেন লালবাজারকে চিঠি উপাচার্যের?
আজ তকের প্রতিবেদন অনুযায়ী, এই চিঠিটি জয়েন্ট পুলিশ কমিশনার (হেডকোয়ার্টার)-কে লেখা হয়েছিল। উপাচার্য দেবাশিস চট্টোপাধ্যায় চিঠিতে উল্লেখ করেছিলেন, ১৩ ডিসেম্বর ২০১৮-তে কলেজে একটি সামাজিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। যেখানে মনোজিৎ মিশ্র কোনও বড়সড় গন্ডোগোল পাকাতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছিল।

উপাচার্য জানিয়েছিলেন, কলেজের একাধিক অনুষ্ঠানের সময়ে মনোজিতের কাণ্ডকারখানায় অতিষ্ট হয়ে উঠেছিল কর্তৃপক্ষ। সে কারণেই তাঁদের আশঙ্কা ১৩ ডিসেম্বরের অনুষ্ঠানেও মনোজিৎ ভয়ঙ্কর কোনও কাণ্ড ঘটাতে পারে। ফলে ওই দিনের অনুষ্ঠানের জন্য কলকাতা পুলিশের থেকে সুরক্ষা চেয়েছিলেন দেবাশিস চট্টোপাধ্যায়। 

গণধর্ষণের ঘটনার তদন্তে কলেজের তৎকালীন উপাচার্যের লেখা মনোজিত সম্পর্কিত এই চিঠি গুরুত্ব দিয়েই দেখছেন তদন্তকারীরা। 

খুলছে কলেজ
গত ২৫ জুন কলেজের অন্দরে গণধর্ষণের অভিযোগের পর থেকে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল সাউথ ক্যালকাটা ল'কলেজ। গত ২৯ জুন থেকে বন্ধ ছিল কলেজের পঠনপাঠন। তবে জানা গিয়েছে, আগামী ৭ জুলাই, সোমবার থেকে ফের শুরু হচ্ছে ক্লাস। কলকাতা পুলিশের ডিটেকটিভ ডিপার্টমেন্টের তরফে এই গণধর্ষণের ঘটনার তদন্ত করা হচ্ছে। তাদের অনুমতির পরই কলেজ খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। 

তবে কলেদের ভাইস প্রিন্সিপাল জানিয়েছেন, কোনও যথাযথ কারণ ছাড়া এবার থেকে কোনও বহিরাগতকে আর কলেজের অন্দরে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না। সকাল ৮টা থেকে দুপুর ২টো পর্যন্তই ঢোকা যাবে কলেজে তাও প্রবেশের জন্য দেখাতে হবে আইডি কার্ড। 

জানা গিয়েছে, ৭ জুলাই পরীক্ষার ফর্ম ফিলআপের জন্য যেতে বলা হয়েছে BALLB-র প্রথম বর্ষের পড়ুয়াদের। সময় সকাল ১০টা থেকে বেলা ১২টা। সঙ্গে অবশ্যই রাখতে হবে কলেজের সচিত্র পরিচয়পত্র। চতুর্থ, ষষ্ঠ এবং অষ্টম সেমেস্টারের পড়ুয়াজের যেতে বলা হয়েছে সকাল ৯টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টার মধ্যে। জমা করতে হবে ইন্টাকনাল প্রজেক্ট। 

Advertisement

৮ জুলাই থেকে ক্লাসের রুটিন মেনে চলতে বলা হয়েছে সকলকে। তবে এখনও পর্যন্ত বন্ধই থাকবে ইউনিয়ন রুম এবং গার্ড রুম। 

তদন্তের খাতিরে পুলিশ খতিয়ে দেখছে কলেজের হাজিরার রেজিস্ট্রেশনের রেকর্ড। 

 


 

POST A COMMENT
Advertisement