Kasba Law College: 'আমায় বিয়ে করবি?' মেয়েদের প্রশ্ন করত মনোজিৎ, রইল ম্যাঙ্গোর আরও কীর্তি

ধর্ষণ করার কথা স্বীকার করল মনোজিৎ মিশ্র। আগেও নাকি এমন বহুবার করে পার পেয়ে গিয়েছিল সে। কিন্তু এবার মেয়েটি অভিযোগ দায়ের করে দেবে এবং 'পরিচিত দাদা'-র থেকেও কোনও সাহায্য মিলবে না, তা ভাবতে পারেনি এই তৃণমূল ছাত্রনেতা। দাপুটে এই ছাত্রনেতার আরও নানা কুকীর্তি ফাঁস হয়েছে।

Advertisement
 'আমায় বিয়ে করবি?' মেয়েদের প্রশ্ন করত মনোজিৎ, রইল ম্যাঙ্গোর আরও কীর্তি মনোজিৎ মিশ্র
হাইলাইটস
  • ধর্ষণ করেছি, স্বীকারোক্তি ম্যাঙ্গোর
  • 'আমায় বিয়ে করবি?' মেয়েদের প্রশ্ন করত মনোজিৎ
  • আগে বহুবার এমন করে পার পেয়ে গিয়েছিল সে

মনোজিৎ মিশ্র ওরফে ম্যাঙ্গো নামে অভিযুক্ত ধর্ষক স্বভাবগত ভাবেই যৌনগন্ধি আচরণ করত। দাবি করছে তারই কলেজের একাধিক জুনিয়র এবং সহপাঠী। যৌনতা, মারপিট, এসবের প্রতিই আকৃষ্ট ছিল ম্যাঙ্গো, বলছেন সাউথ ক্যালকাটা ল'কলেজের অনেক পড়ুয়াই। কোনও নতুন মেয়ে কলেজে এলেই ম্যাঙ্গো 'ছক কষত' তাঁকে 'পটানোর'। ইমপ্রেস করতে চিরাচরিত ওয়ান লাইনার ব্যবহার করত সে। 'তুই আমায় বিয়ে করবি?'

২০২১ সালে কসবা ল'কলেদের তৃণমূল ইউনিট থেকে সরে যায় সে। তা সত্ত্বেও দাপট কমেনি ম্যাঙ্গোর। এই একই ওয়ান লাইনার বলে আরও একাধিক যুবতীকে হেনস্থার চেষ্টা করেছে মনোজিৎ মিশ্র। অভিযোগ এমনটাই। 

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই কলেজেরই এক পড়ুয়া সংবাদমাধ্যমে বলেন, 'প্রায় সমস্ত কিছুই নিজের ফোনে রেকর্ড করার অভ্যাস ছিল মনোজিতের। একাধিক ছাত্রীর ছবি বিকৃত করে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করত। যে মহিলাদের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করত, তাঁদের গোপন ভিডিও তুলে বন্ধুদের পাঠাত। বিভিন্ন গ্রুপে সেই সমস্ত ভিডিও পোস্ট করে মেয়েদের বডি শেমিং করত ম্যাঙ্গো ও তার সঙ্গীরা।'

মলেস্টেশন, হেনস্থা, শারীরিক নিগ্রহ এবং হুমকি দেওয়ার একাধিক অভিযোগে পুলিশের খাতায় বহু আগে থেকেই নাম রয়েছে মনোজিৎ মিশ্রর। তার 'কুকীর্তি' নিয়ে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ অবগত ছিল বলেই সূত্রের খবর। তৃতীয় বর্ষের এক আইনের ছাত্রের দাবি, কলেজ কর্তৃপক্ষও ম্যাঙ্গোর এই বাড়বাড়ন্ত সম্পর্কে সমস্তটা জেনেও না জানান ভান করে থাকত। এর আগেও টিচার-ইন-চার্জের কাছে যৌন হেনস্থার অভিযোগ জমা পড়েছে ম্যাঙ্গো ও তার সঙ্গীদের বিরুদ্ধে। তবে কোনও অ্যাকশন নেওয়া হয়নি। মনোজিতের মতো ছেলেরা থাকলে এই কলেজ কারও জন্য নিরাপদ নয়, মনে করছেন ওই ছাত্র। 

এদিকে, পুলিশি জেরায় ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছে মনোজিৎ। পুলিশ সূত্রে খবর, সে বলেছে, 'আমার ক্ষমতা কী সবাই জানত। ওই মেয়েটাও। আগে এমন বহু কেস করেছি কিন্তু মেয়েটা কমপ্লেন করে দেবে ভাবতে পারিনি। গুরুত্ব দিইনি।' সে আরও বলে, 'ধর্ষণ করেছি। প্রমিত আর জাইব ভিডিও করেছে।'

Advertisement

জানা গিয়েছে, নির্যাতিতাকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়ে সহবাসের জন্য জোরাজুরি করেছিল ম্যাঙ্গো। তিনি রাজি না হওয়ায় ভয়ঙ্কর নির্যাতন করা হয় তাঁকে। ঘটনার পর নির্যাতিতা অভিযোগ দায়ের করেন। তখনই এক 'পরিচিত দাদা'-কে ফোন করে ম্যাঙ্গো। আগেও বহুবার তাকে সে বাঁচিয়েছিল কিন্তু এবার আর সাড়া মেলেনি তার থেকে। ফলে ম্যাঙ্গো বুঝে যায়, বিপদ আসন্ন। 

 

POST A COMMENT
Advertisement