কলকাতা পুলিশেই আস্থা কসবা ল'কলেজের প্রথম বর্ষের নির্যাতিতা ছাত্রীর পরিবারের। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে নির্যাতিতার বাবা বলেন, 'আমাদের কলকাতা পুলিশেই আস্থা রয়েছে।' জাতীয় মহিলা কমিশনের সদস্যরাও তাঁদের সঙ্গে এ প্রসঙ্গে কথা বলেছেন বলে উল্লেখ করেন তিনি। উল্লেখ্য, ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর এবং নির্যাতিতা অভিযোগ দায়ের করার ১২ ঘণ্টার মধ্যেই অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা হয় কলকাতা পুলিশের তরফে। যা নিয়ে রাজ্য শাসকদল একাধিকবার পুলিশের ভূমিকার প্রশংসা করে। যদিও বিরোধীরা আরজি করের ঘটনার এক বছরের মধ্যে ফের শহরের মধ্যে এহেন নৃশংস ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। কিন্তু এবার দেখা গেল নির্যাতিতার বাবাও জানালেন, কলকাতা পুলিশেই তাঁর আস্থা রয়েছে।
কী বললেন নির্যাতিতার বাবা?
‘তদন্ত হোক, দোষীরা শাস্তি পাক। কলকাতা পুলিশের তদন্তের গতিপ্রকৃতিতে আমরা সন্তুষ্ট।’ বারবার একথাই বলেছেন নির্যাতিতার বাবা। তাঁর বক্তব্য, ‘আমরা চাই দোষীদের সর্বোচ্চ শাস্তি হোক।’ সঙ্গে তিনি এ-ও বলেন,'সাংবাদিকরা আসুক সেটা আমরা চাইছি না। আমরা যে মানসিক অবস্থায় রয়েছি, এখন কথা বলা সম্ভব নয়।'
এদিকে ইতিমধ্যেই সুপ্রিম কোর্টে CBI তদন্তের আর্জি জানিয়ে একটি জনস্বার্থ মামলাও দায়ের করা হয়েছে। পাশাপাশি কলকাতা হাইকোর্টের নজরদারিতে তদন্তপ্রক্রিয়া চালানোর জন্যও আবেদন করা হয়েছে।
তদন্ত কতদূর?
মঙ্গলবার কলকাতা পুলিশের কমিশনারকে প্রশ্ন করা হয়, কসবা কাণ্ডে তদন্ত কতদূর এগিয়েছে। জবাবে CP বলেন,'সাউথ ক্যালকাটা ল'কলেজে যে ঘটনা ঘটেছে, তা নিয়ে পুলিশ তদন্ত করছে তবে যেহেতু মামলাটি খুবই স্পর্শকাতর তাই এই নিয়ে আমরা খুব বিস্তারিত কিছু এখনই জানাতে পারছি না। শুধু এটুকুই বলব, খুব দ্রুত FIR দায়ের করা হয়েছিল। ৩ অভিযুক্তই ১২ ঘণ্টার মধ্যে ধরা পড়েছে। তারপর তদন্ত করে আরও একজনকে আমরা গ্রেফতার করেছি।' পুলিশ কমিশনার জানিয়েছেন, অনেক তথ্যপ্রমাণ তাঁদের হাতে উঠে এসেছে, সেগুলি সমস্ত খতিয়ে দেখা হচ্ছে।