গত কয়েক সপ্তাহের বৃষ্টিতেই শহরের একাধিক রাস্তা ভরেছে ছোট-বড় গর্তে। কোনও রাস্তার আবার উঠে গিয়েছে পিচ। যার জেরে সেখানে বাড়ছে দুর্ঘটনার আশঙ্কা। পুজোর আগে তাই শহরের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ রাস্তার হাল ফেরাতে উদ্যোগ নিল কলকাতা পুরসভা। মেয়র ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছেন, শহরের বেশকিছু ওয়ার্ডের রাস্তা খারাপ।
তিনি শনিবার একটি সাংবাদিক বৈঠকে বলেন, 'কাজগুলো খুব দেরি করে হচ্ছে। বিশেষ করে বেহালার দিকে ওয়ার্ড গুলিতে কাজ হচ্ছে তো হচ্ছে। যে সংস্থাগুলি কাজ নিয়েছে। তাদের কাজ করার ক্ষমতা নেই। ১১২,১১৩,১১৪,১২৩,১২৪, রাস্তাগুলি খুব খারাপ অবস্থা আছে। আজকে আমি একটা সিদ্ধান্ত নিয়েছি। KEIP থেকে টাকা KMC নেবে আর রাস্তা করে দেবে। তাই অবিলম্বে বলা হয়েছে কাল পরশু মধ্যে বা এক সপ্তাহে মধ্য ব্লাক পেপার ব্লক করে আবার হাউসে কানেকশন করে আবার জুড়ে দিতে হবে।'
তিনি আরও বলেন, 'প্রায় ৩১টা রাস্তা রয়েছে যার কাজ পুরসভা করবে। প্রায় ২৩০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে।'
অন্যদিকে, ট্র্যাফিক পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বর্ষা শুরু হওয়ার পর থেকেই শহরের বিভিন্ন ছোট-বড় রাস্তায় খানাখন্দ তৈরি হয়েছে। যার ফলে যান চলাচলের গতি বাধা পাচ্ছে। পুরসভা এবং পূর্ত দফতরকে পাঠানো চিঠিতে শহরের ৩৮৫টি জায়গার কথা বলা হয়েছে, যেখানে অবিলম্বে মেরামতি করা প্রয়োজন। শহরে কলকাতা বন্দরের অধীনস্থ বেশ কিছু রাস্তার অবস্থাও খারাপ। সেগুলিও মেরামতির জন্য লালবাজারের তরফে বলা হয়েছে। কলকাতা ট্র্যাফিক পুলিশের এক আধিকারিক জানান, পুজোর কথা মাথায় রেখেই ওই সব বেহাল রাস্তার তালিকা তৈরি করে পাঠানো হয়েছে। ইতিমধ্যেই মেরামতির কাজ শুরু হয়েছে কিছু রাস্তায়।
ট্র্যাফিক বিভাগ সূত্রের খবর, তুলনামূলক ভাবে খারাপ রাস্তার তালিকায় রয়েছে শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জি রোড, দেশপ্রাণ শাসমল রোড, জেমস লং সরণি, ডায়মন্ড হারবার রোড, এন এস রোড, গণেশচন্দ্র অ্যাভিনিউ, চিত্তরঞ্জন অ্যাভিনিউয়ের কিছু অংশ। আবার বেশ কিছু রাস্তায় গর্ত তৈরি হয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে মহাত্মা গান্ধী রোড, স্ট্র্যান্ড রোড, বি টি রোডের মতো রাস্তা। এই তালিকায় নাম রয়েছে বোড়াল মেন রোড, চৌবাগা রোড এবং শিয়ালদা উড়ালপুলেরও।