মঙ্গলবার বিকেলে চাঞ্চল্য ছড়াল কলকাতা বিমানবন্দরে। ইম্ফল থেকে কলকাতা হয়ে মুম্বাই যাওয়ার পথে এক যাত্রীর মুখে ফ্লাইটে বোমা রয়েছে শুনে আতঙ্ক ছড়ায়। পরিস্থিতি সামাল দিতে তৎক্ষণাৎ নিরাপত্তা জোরদার করা হয় এবং সংশ্লিষ্ট ইন্ডিগো বিমানে থাকা ১৮৬ জন যাত্রীর মধ্যে যারা উঠে পড়েছিলেন, তাঁদের নামিয়ে এনে বিমানটিকে আইসোলেশন বেতে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়।
সূত্র অনুযায়ী, অভিযুক্ত যাত্রী, যার বয়স ২৬, তিনি স্টেপ ল্যাডার চেক পয়েন্টে দাঁড়িয়ে বিমানে ওঠার আগেই নিরাপত্তা কর্মীদের বলেন, তাঁর কাছে বোমা আছে। সঙ্গে সঙ্গে বিমান সংস্থার নিরাপত্তা আধিকারিকরা বিষয়টি বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষকে জানান এবং ওই যাত্রীকে আটক করা হয়।
জানা গেছে, যাত্রীটি ইন্ডিগোর একটি ফ্লাইটে ইম্ফল থেকে কলকাতায় এসেছিলেন এবং এখান থেকেই আরেকটি ইন্ডিগো ফ্লাইটে মুম্বাই যাওয়ার কথা ছিল। এই ফ্লাইটে মোট ১৮৬ জন যাত্রী থাকলেও হুমকির সময় ১৭৯ জন ইতিমধ্যেই বোর্ডিং সম্পূর্ণ করে ফেলেছিলেন।
বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ জানান, যাত্রীর মন্তব্যকে ‘সুনির্দিষ্ট হুমকি’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয় এবং তৎক্ষণাৎ স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং পদ্ধতি (SOP) কার্যকর করা হয়। বিমানটিকে আলাদা করে খালি করে সার্চ করা হয়। বিকেল ১.৩০টায় উড়ানের কথা থাকলেও এই ঘটনায় দীর্ঘক্ষণ ফ্লাইটটির দেরি হয়।
এক বিবৃতিতে ইন্ডিগো জানায়, “ফ্লাইট 6E 5227-এ বোমা থাকার হুমকি পাওয়ার পরে SOP অনুযায়ী সমস্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। বিমানটিকে আইসোলেশন বেতে স্থানান্তর করা হয় এবং তল্লাশি শেষে নির্দিষ্ট নিয়ম মেনেই পরিস্থিতি সামাল দেওয়া হয়।”
ভারত-পাকিস্তান সাম্প্রতিক সামরিক উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে এমনিতেই দেশের বিমানবন্দরগুলোতে নিরাপত্তা চূড়ান্ত মাত্রায় পৌঁছেছে। এই ঘটনার পর আরও একবার বিমানবন্দরে সতর্কতা ও তৎপরতা কতটা জরুরি, তা প্রমাণিত হল বলে মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহল।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, আটক যাত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে এবং তদন্ত চলছে, তিনি মজা করতে এমন কথা বলেছিলেন, না কি এর পেছনে কোনও গভীর উদ্দেশ্য আছে—তা খতিয়ে দেখছে নিরাপত্তা সংস্থাগুলি।