নতুন সিক্স লেন এলিভেটেড কোনা এক্সপ্রেসওয়ে তৈরির কাজ চলছে জোরকদমে। আর সে কারণে ওই রাস্তায় নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে পণ্যবাহী গাড়ি চলাচল। ফলস্বরূপ চাপ বেড়ে ট্রাফিকে। সম্প্রতি যানজটের একাধিক সমস্যার অভিযোগ কানে গিয়েছে লালবাজারের। অফিস টাইম যাত্রীরা নাকাল হচ্ছেন দীর্ঘদিন। এই সমস্যা সমাধানে তাই শুক্রবার সাংবাদিক বৈঠক করে কলকাতা ট্রাফিক পুলিশের পক্ষ থেকে একগুচ্ছ নির্দেশিকা জারি করা হল।
এতদিন পর্যন্ত রাত ১০টা থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়ে এবং দিল্লি রোড হয়ে দ্বিতীয় হুগলি সেতুর উপর দিয়ে কলকাতায় প্রবেশ করত পণ্যবাহী গাড়ি। তবে লালবাজার জানিয়েছে, আগামী রবিবার থেকে ওই পথে কলকাতায় আসতে পারবে না পণ্যবাহী গাড়িগুলি। এবার থেকে সেই গাড়িগুলিকে ডানলপ থেকে নিবেদিতা সেতু এবং টালা সেতু হয়ে কলকাতায় আসতে হবে। ফলত কিছুটা হলেও যান চলাচলে চাপ কমবে বলে মনে করা হচ্ছে।
অন্যদিকে, এতদিন দুপুরের দিকে মাঝারি এবং হালকা পণ্যবাহী গাড়িকে কোনা এক্সপ্রেসওয়ে হয়ে কলকাতায় যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হচ্ছিল। তবে আপাতত তা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে লালবাজার।
এদিন যৌথ সাংবাদিক বৈঠকে কলকাতার পুলিশ কমিশনার মনোজ বর্মা এবং হাওড়ার পুলিশ কমিশনার প্রবীণ ত্রিপাঠী জানান, বর্তমানে সাঁতরাগাছিতে কোনা এক্সপ্রেসওয়ের ছ’লেনের সম্প্রসারণের কাজ চলছে। এর ফলে সাঁতরাগাছি উড়ালপুলের উভয় দিকেই যানজট তৈরি হচ্ছে। রাস্তা সরু হওয়ার কারণেও দীর্ঘক্ষণ গাড়ি আটকে পড়ছে। এই রাস্তা দিয়ে অনেক পণ্যবাহী গাড়ি হাওড়ার উপর দিয়ে কলকাতা বা ডানকুনির দিকে যায়। কিন্তু এখন রাস্তার কাজের জন্য তাতে কিছুটা সমস্যা হচ্ছে।
যেহেতু আর মাস খানেকের মধ্যেই দুর্গাপুজো। ফলে ট্রাফিকের চাপ বাড়বে। এ অবস্থায় সাধারণ মানুষের যাতায়াতে যাতে কোনও সমস্যা না-হয়, তা নিশ্চিত করতে দুই শহরের পুলিশ যৌথ ভাবে বৈঠক করেছে। ছোট গাড়ি যাতে যানজটের মধ্যে আটকে না থাকে, তা নিশ্চিত করতে এই যান নিয়ন্ত্রণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে খবর। তবে কত দিন পর্যন্ত এই নিয়ন্ত্রণ কার্যকর থাকবে, তা এখনই নিশ্চিত করেননি পুলিশকর্তারা।