Tangra Building ট্যাংরার হেলে পড়া সেই বাড়ি ভেঙে ফেলার নির্দেশ দিল কলকাতা পুরসভা। সেই নির্দেশের কপি টাঙিয়ে দেওয়া হয়েছে হেলে পড়া বিল্ডিংয়ে। তার জেরে মাথায় হাত সেখানকার আবাসিকদের। 'এত টাকা খরচ করে ফ্ল্যাট কিনেছি, এখন কোথায় যাব?' প্রশ্ন তাঁদের।
বুধবার সকালেই নজরে আসে ট্যাংরার ক্রিস্টোফার রোডের একটি সবুজ বহুতল হেলে পড়েছে। তারপরই এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়ায়। খবর যায় পুরসভায়। ঘটনাস্থলে আসেন স্থানীয় কাউন্সিলর। এরপরই বহুতল বাড়িটি ভেঙে ফেলার নির্দেশ দেওয়া হল পুরসভার তরফে। ইতিমধ্যে সেখানে মাইকিং শুরু করেছে ট্যাংরা থানার পুলিশ। পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, বৃহস্পতিবার ওই বাড়িটি ভেঙে ফেলা হবে। একইসঙ্গে পাশের সাদা রঙের যে নির্মীয়মাণ বাড়িটি রয়েছে সেখানকার আবাসিকদেরও সরে যেতে বলা হয়েছে। সেই বিল্ডিংয়ে শুধু মিস্ত্রিরা ছিলেন। তাঁরা ইতিমধ্যে সেখান থেকে নিরাপদে বেরিয়ে এসেছেন। তবে নির্মীয়মাণ বিল্ডিংটিও ভেঙে ফেলা হবে কি না তা এখনও পরিষ্কার নয়।
এদিকে বিল্ডিং খালি করার নির্দেশের জেরে ক্ষুব্ধ সেখানকার আবাসিকরা। তাঁদের মাথায় হাত। সেইঈ বিল্ডিংয়ে ১৩ টি পরিবার থাকে। তাঁরা এখন কোথায় যাবেন, সব জিনিসপত্র কীভাবে বের করবেন, তাঁদের ফ্ল্যাটের ভবিষ্যৎ কী, কোথায় থাকবেন, এই সব প্রশ্ন তুলেছেন।
ওই বিল্ডিংয়ের এক বৃদ্ধ আবাসিক জানান, তিনি বছর খানেক আগে এখানে ফ্ল্যাট কিনেছেন। স্ত্রী-র হাঁটু অপারেশন হয়েছে। তাঁর স্ত্রী এখন হাঁটার মতো অবস্থায় নেই। এমন পরিস্থিতিতে তিনি কোথায় যাবেন তা এখনও জানেন না।
আর এক আবাসিক বলেন, 'প্রোমোটারকে বিশ্বাস করে ফ্ল্যাট কিনেছিলাম। আমরা এতদিন টের পাইনি এরকম কিছু হতে পারে। কিন্তু এখন তো পথে বসতে চলেছি। জানি না কোথায় থাকব, কীভাবে জিনিস বের করব। আমরা মাথার ছাদ হারাতে চলেছি।'
প্রসঙ্গত, এর আগে ১৪ জানুয়ারি বাঘাযতীনের একটি বহুতলের একাংশ হেলে পড়ে ও ভেঙে যায়। পরে পুরসভার তরফে সেই বিল্ডিং ভেঙে ফেলা হয়। সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই এবার ট্যাংরার এই ঘটনা সামনে এল। যা নিয়ে আতঙ্কিত এলাকার বাসিন্দারা।