
চলতি বছরে কলকাতায় ডেঙ্গি সংক্রমণের হার কিছুটা বৃদ্ধি পেলেও, ম্যালেরিয়া আক্রান্তের সংখ্যা গত তিন বছরে ক্রমাগত হ্রাস পাচ্ছে। পুরসভার সর্বশেষ (২ নভেম্বর পর্যন্ত) তথ্য অনুযায়ী, এ বছর শহরে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা ১,১০৬ জন। আগের সপ্তাহের তুলনায় নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৮৯ জন। যদিও পুর স্বাস্থ্যকর্তারা জানাচ্ছেন, এই সামান্য বৃদ্ধি নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার কোনও কারণ নেই।
পুর স্বাস্থ্য দফতরের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, গত কয়েক সপ্তাহ ধরে সংক্রমণের গ্রাফ ওঠানামা করছে। কখনও ৯৩, কখনও ৮৫ বা ৮৯ জন নতুন আক্রান্ত হচ্ছেন। তবে এই হার নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। পুরসভার তথ্য বলছে, চলতি বছরে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হয়েছে ১০ নম্বর বরোতে, এখানে আক্রান্তের সংখ্যা ১৬৮ জন। অন্যদিকে, সবচেয়ে কম আক্রান্তের সংখ্যা ২ নম্বর বরোতে, যেখানে মাত্র সাতজনের শরীরে ডেঙ্গুর জীবাণু মিলেছে।
দুর্গাপুজোর আগে পুরসভা এবং স্বাস্থ্যবিভাগ পুজো কমিটিগুলিকে বিশেষ সতর্কতা নির্দেশিকা পাঠিয়েছিল। মণ্ডপের বাঁশের মাথায়, ত্রিপলের ভাঁজে বা আশপাশে জল জমে না থাকে, তার দিকে নজর দিতে বলা হয়েছিল। তবু কিছু কিছু ক্ষেত্রে অসাবধানতার কারণে সংক্রমণ সামান্য বৃদ্ধি পেয়েছে বলে মনে করছেন পুর কর্তারা।
কলকাতা পুরসভার মুখ্য পতঙ্গবিদ ডঃ দেবাশিস বিশ্বাস জানান, পুরসভা সারা বছর ধরে ডেঙ্গি নিয়ন্ত্রণে কাজ করে। ২০২৪ সালে সংক্রমণ অত্যন্ত কম ছিল, তাই সেটিকে ‘অস্বাভাবিক বছর’ হিসেবে ধরা হচ্ছে। বর্তমান সংক্রমণ হার ২০২৩ সালের তুলনায় প্রায় ৯১ শতাংশ কম। তাঁর মতে, এই সময়টি ডেঙ্গুবাহক মশার প্রজননের উপযুক্ত সময়। তাই সংক্রমণ কিছুটা বাড়া স্বাভাবিক। কিন্তু, সার্বিকভাবে শহর নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
অন্যদিকে, ম্যালেরিয়া আক্রান্তের সংখ্যা গত তিন বছরে ধারাবাহিকভাবে কমছে, যা শহরের স্বাস্থ্যব্যবস্থার জন্য ইতিবাচক দিক হিসেবে দেখা হচ্ছে।