আর জি কর কাণ্ডে জুনিয়র ডাক্তারদের চাপের মুখে পড়ে ইস্তফা দিলেন সেখানকার অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ। আর জি কর হাসপাতালে যুবতী চিকিৎসককে কর্তব্যরত অবস্থায় ধর্ষণ করে খুনের ঘটনার প্রতিবাদে শুক্রবার থেকে আন্দোলন চলছে। একাধিক আধিকারিকের পদত্যাগের দাবি করে আসছেন জুনিয়ার ডাক্তাররা। সেই তালিকার প্রথম নামই ছিল অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের। সোমবার সকালে তিনি পদত্যাগ করেন।
তবে সংবাদমাধ্যমের সামনে পদত্যাগের কথা ঘোষণা করলেও তিনি এখনও লিখিত আকারে তা জমা দেননি বলে অভিযোগ। জুনিয়ার ডাক্তারদের দাবি, লিখিত আকারে পদত্যাগপত্র জমা দিতে হবে। এদিকে সন্দীপ ঘোষ জানান, তিনি কারও চাপের কাছে নয়, স্বেচ্ছায় এই পদত্যাগ ঘোষণা করেছেন।
সন্দীপ বলেন, এই ঘটনার নৈতিক দায় স্বীকার করে তিনি পদত্যাগ করছেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি বলেছেন বলে যেগুলো চালানো হচ্ছে সেগুলো তাঁর মুখে বসানো। তিনি ওসব কথা বলেননি। তাঁর কাছে বদলি নিয়ে কোনও নোটিস আসেনি তবে তিনি পদত্যাগ করছেন।
সন্দীপের দাবি, তিনি তদন্তে সাহায্য করেছেন। সেজন্য একজনকে শীঘ্রই গ্রেফতার করা সম্ভব হয়েছে। তিনি বলেন,'ঘটনার পর ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা পৌঁছে যান ঘটনার ২ ঘণ্টার মধ্যে। পুলিশ আসে। সেরকম হলে আমার হাসপাতালের সিসিটিভি ফুটেজ ১ ঘণ্টার মধ্যে আমি পুলিশকে হ্যান্ডওভার করতাম না। সেজন্য এক্ষেত্রে অভিযুক্তকে ধরতে পুলিশের এক ঘণ্টার বেশি সময় লাগেনি।'
প্রসঙ্গত, এই কর্তব্যকত জুনিয়ার ডাক্তারের মৃত্যুর পর থেকেই বিচারবিভাগীয় তদন্তের দাবি করে আসছেন আন্দোলনকারীরা। আজ সোমবরাও ধর্মঘট চলছে। তারইমধ্যে পদত্যাগ করলেন সন্দীপ ঘোষ।
প্রসঙ্গত, আরজি কর হাসপাতালের সেমিনার হলে যুবতী চিকিৎসককে গত শুক্রবার খুন করা হয়। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট নিশ্চিত করে ওই যুবতীকে ধর্ষণের পর খুন করা হয়। অভিযুক্তদের মধ্যে একজনকে শনিবার গ্রেফতার করা হয়।