Shirshendu Mukhopadhyay: টানা ৩৬ ঘণ্টা ডিউটির পর অনেক রাতে খাবার অর্ডার। তারপর খাওয়া সেরে কনফারেন্স রুমে বিশ্রাম। জানা যাচ্ছে, সেখানে অনেক ইন্টার্ন চিকিৎসকই বিশ্রাম করতেন। কিন্তু পুলিশসূত্রে খবর, ঘটনার দিন নির্যাতিতা একাই ছিলেন। পরদিন উদ্ধার হয় তাঁর মৃতদেহ। শরীরে বহু আঘাতের চিহ্ন। পুলিশ জানায়, ধর্ষণ ও খুন। শুরু হয় তদন্ত। কিন্তু তদন্ত নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। এখন সিবিআই অফিসাররা তদন্ত শুরু করেছে।
রাজ্যের পাশাপাশি গোটা দেশে প্রতিবাদ হচ্ছে আরজি করের খুন-ধর্ষণ নিয়ে। তারই মধ্যে একটি অডিও ভাইরাল হয়েছে। যা শুনে শিউরে উঠছেন বহু মানুষ। বিষয়টিতে 'বাংলা ডট আজতক ডট ইনে' প্রথমবার মুখ খুললেন সাহিত্যিক বিশিষ্ট শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়। তাঁর মতে, এ ধরনের ঘটনা আমাদের সমাজে নতুন কিছু নয়, কিন্তু এই নির্দয় ঘটনাটি আমাদের সকলকে লজ্জায় ফেলে দিয়েছে।
শীর্ষেন্দু বলেন, 'গ্রাম-গঞ্জ থেকে শুরু করে শহরের অলিগলিতে মহিলাদের উপর নির্যাতনের ঘটনা প্রতিনিয়তই ঘটে চলেছে। কিন্তু আরজি কর হাসপাতালে নিজের কর্মস্থলে একজন মেয়েকে অত্যাচার করে খুন করা হয়েছে, এটি অত্যন্ত লজ্জাজনক এবং বেদনাদায়ক।'
এ ধরনের জঘন্য অপরাধের প্রতিবাদে মানুষ যে একত্রিত হয়েছে, তা শীর্ষেন্দুর কাছে আশাব্যঞ্জক মনে হয়েছে। তিনি বলেন, 'মানুষের মধ্যে এই প্রতিবাদের ঢেউ আশা জাগায়। কিন্তু এই ঘটনার পেছনে যে রাজনৈতিক চাপান-উতোর এবং ঘোলা জলে মাছ ধরার প্রবণতা দেখা যাচ্ছে, তা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক।' শীর্ষেন্দুর মতে, এ ধরনের ঘটনায় সরকারকে দ্রুত এবং সঠিক পদক্ষেপ গ্রহণ করা উচিত। তিনি বলেন, 'দোষীদের দ্রুত গ্রেফতার এবং উপযুক্ত শাস্তি নিশ্চিত করার দাবি তোলা হয়েছে এবং সেটিই হওয়া উচিত।'
সাহিত্যিক শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়ের লেখা 'শবর দাশগুপ্ত' চরিত্রটি কলকাতা পুলিশের একজন দক্ষ গোয়েন্দা হিসেবে পরিচিত। প্রথমে ঘটনাটির তদন্ত কলকাতা পুলিশের হাতেই ছিল। কিন্তু তাদের তদন্ত প্রক্রিয়া নিয়ে অসন্তুষ্ট বিরোধী-সহ বহু মানুষ। প্রসঙ্গটিতে তিনি বলেন, 'আমার তৈরি চরিত্র শবর দাশগুপ্তও কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা। এক্ষেত্রে তাদের কেউ শবর দাশগুপ্ত হয়ে উঠতে পারল না কেন, তা আমি বলতে পারব না। তবে এটা ঠিক যে, কলকাতা পুলিশ খুবই দক্ষ এবং অতীতে তারা অনেক জটিল মামলা সমাধান করেছে।'
সাহিত্যিকের এই বক্তব্যে স্পষ্টভাবে উঠে এসেছে তাঁর ন্যায় বিচারের আকাঙ্ক্ষা। তিনি বলেন, 'আমি চাই ন্যায় বিচার হোক। আরজি কর কাণ্ডে দোষীদের দ্রুত গ্রেফতার এবং বিচার হওয়া উচিত। আমাদের সমাজে এ ধরনের নির্দয় ঘটনার পুনরাবৃত্তি যাতে না ঘটে, সে জন্য উপযুক্ত পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।